• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

সস্ত্রীক স্বেচ্ছামৃতু্য বেছে নিলেন নেদারল্যান্ডসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

নেদারল্যান্ড, ১৫ ফেব্রুয়ারি– বিয়ের সময় নেওয়া সাত মন্ত্রের মধ্যে একটি হল জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত একে অপরের সঙ্গে থাকার শপথ৷ কিন্তু এই শপথ ক’জন দম্পত্তি রাখতে পারেন বলুন৷ কারণ মৃতু্য কখন আসবে কে বলতে পারে৷ কিন্তু প্রাক্তন ডাচ প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী রাখতে পেরেছেন৷ একসঙ্গে যেমন জীবন কাটিয়েছেন একসঙ্গেই তেমন মৃতু্য বরণ করলেন তাঁরা৷ নেদারল্যান্ডসের

নেদারল্যান্ড, ১৫ ফেব্রুয়ারি– বিয়ের সময় নেওয়া সাত মন্ত্রের মধ্যে একটি হল জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত একে অপরের সঙ্গে থাকার শপথ৷ কিন্তু এই শপথ ক’জন দম্পত্তি রাখতে পারেন বলুন৷ কারণ মৃতু্য কখন আসবে কে বলতে পারে৷ কিন্তু প্রাক্তন ডাচ প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী রাখতে পেরেছেন৷ একসঙ্গে যেমন জীবন কাটিয়েছেন একসঙ্গেই তেমন মৃতু্য বরণ করলেন তাঁরা৷

নেদারল্যান্ডসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দ্রায়াস ভন এজেট ও তাঁর স্ত্রীর, দুজনেরই বয়স হয়েছিল ৯৩৷ নবতিপর দম্পতি সেদেশের আইন মেনে ইউথেনশিয়ায় একসঙ্গে স্বেচ্ছায় পৃথিবী ছেডে় পাডি় দিলেন কখনও না ফেরার দেশে৷ এক মানবাধিকার সংস্থা ‘দ্য রাইটস ফোরাম’ প্রেম দিবসে এই আশ্চর্য ঘটনার কথা ঘোষণা করলেও ঘটনাটি ঘটেছে গত ১২ ফেব্রুয়ারি৷

১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল, এই সময়কালে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এজেট৷ ক্রিস্টান ডেমোক্র্যাটিক অ্যাপিল পার্টির প্রথম নেতাও ছিলেন তিনি৷ একটি প্রেস নোটে জানানো হল তাঁর সস্ত্রীক স্বেচ্ছামৃতু্যর কথা৷ সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে হাতে হাত রেখেই সত্তর বছরের বেশি সময়ের দাম্পত্যে যবনিকা টানলেন এজেট৷

২০১৯ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় নবতিপর রাজনীতিকের৷ সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারছিলেন না তিনি৷ ক্রমেই ভেঙে পড়ছিল শরীর৷ তাঁর স্ত্রীও ছিলেন অত্যন্ত অসুস্থ৷ একে অপরকে ছেডে় থাকতে পারতেন না দুজনে৷ তাই এর পরই সিদ্ধান্ত নেন স্বেচ্ছামৃতু্যর৷

তবে এই ঘটনা নেদারল্যান্ডসে বিরল নয়৷ সেখানে যুগলে স্বেচ্ছামৃতু্য যেন এক ‘ট্রেন্ড’ হয়ে উঠেছে৷ প্রাণঘাতী ইনজেকশনে একসঙ্গে মৃতু্যবরণ করছেন অনেকেই৷ ২০২১ সালে ১৬টি দম্পতি এই সিদ্ধান্ত নেন৷ ২০২২ সালে ২৯ জন স্বামী-স্ত্রী স্বেচ্ছামৃতু্যর পথে হাঁটেন৷