দিল্লি, ১৫ ফেব্রুয়ারি– লোহিত সাগরে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তার জেরে সেই পথে বাসমতি রফতানি বৃদ্ধিতে কিছুটা প্রভাব পডে়ছে৷ তবে যে দেশগুলিতে ভারতীয় পণ্যের বাজার সবথেকে বড়, যেমন গাল্ফ উপসাগরীয় দেশগদুলি, সেখানে খুব একটা প্রভাব পডে়নি বলেই খবর৷ মিশর কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিকে, যেখানে রফতানির জন্য এই লোহিত সাগরের জলপথ ব্যবহার করা হয়৷ সেই ক্ষেত্রে বাসমাতির রফতানিতে বেশ বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের৷ বর্তমান এই পরিস্থিতির কথা জানাচ্ছেন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড প্রসেসড ফুড প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান অভিষেক দেব৷
পাশাপাশি আঙুরের রফতানির উপরেও কিছুটা প্রভাব পডে়ছে বলে জানাচ্ছেন তিনি৷ রফতানির জন্য জাহাজপথ বদলানো হয়েছে, দামেও বদল আনা হয়েছে৷ তারপরও ভারতের বহির্বাণিজ্যের বড় পয়েন্টগুলিতে চাহিদা মোটেই কমেনি৷ বর্তমানে দুই ধরনের চাল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ ভাঙা চাল ও অ-বাসমতি সাদা চাল বর্তমানে রফতানি করা যায় না৷ এছাড়া পারবয়েলড রাইস রফতানির উপর ২০ শতাংশ হারে রফতানি শুল্ক লাগে৷ সেক্ষেত্রে অভিষেক দেব জানাচ্ছেন, সামগ্রিকভাবে বাসমতি চালের রফতানি বেডে়ছে৷ তাঁর কথায়, সম্প্রতি বাসমতি চাল রফতানি মূল্যের হিসেবে ১৯ শতাংশ বেডে়ছে এবং রফতানির পরিমাণের দিক থেকে ১১ শতাংশ বেডে়ছে৷
তবে বাসমতি চাল নয় এমন চালগুলির রফতানির ক্ষেত্রে অন্যতম হল পারবয়েলড রাইস৷ সরকারের থেকে যে ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক লাগু করা হয়েছে, তাতে পারবয়েলড রাইসের রফতানির উপর কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন তিনি৷প্রসঙ্গত, লোহিত সাগরীয় অঞ্চলে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী হামলা চালাচ্ছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজের উপর৷ তাদের বক্তব্য, প্যালেস্টাইনপন্থী হামাস গোষ্ঠীর সঙ্গে সংহতি রেখে ইজরায়েলের সঙ্গে জডি়ত জাহাজের উপর তারা হামলা চালাচ্ছে৷ কিন্ত্ত বাস্তব চিত্র বলছে, কোনও বাছ বিচার না করে প্রায় সব দেশের বাণিজ্যিক জাহাজের উপরেই হামলা চলছে লোহিত সাগরীয় এলাকায়৷