ইসলমাবাদ, ১৩ ফেব্রুয়ারি– এ যেন ভারতের রাজনীতিতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের দ্বিতীয় সংস্ককরণ৷ ভারতে যেমন আসন ভাগাভাগি প্রশ্নে ইন্ডিয়া জোট ভাঙতে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেই প্রশ্নে নওয়াজ-জারদারি জোট ভাঙণের মুখে৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না মেলায় নির্দলদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাকিস্তানে সরকার গড়তে চান নওয়াজ শরিফ ও আসিফ আলি জারদারি৷ কিন্ত্ত প্রধানমন্ত্রী পদ পেতে মরিয়া দুই দলই৷
২৬৫ আসনের পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১৩৩টি আসন৷ কিন্ত্ত সেই সংখ্যা ছুঁতে পারেনি কোনও দলই৷ তবে শেষ পর্যন্ত জোট সরকার গড়তে উদ্যোগ নিয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ও আসিফের পিপিপি৷ ইতিমধ্যেই নির্দল হিসাবে জয়ী ৫ প্রার্থীর সমর্থন পেয়ে গিয়েছে নওয়াজের দল৷ ফলে সরকার গঠনের জন্য এই জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া স্রেফ সময়ের ব্যাপার৷
উল্লেখ্য, ফল প্রকাশের পর তিনদিনে দুবার বৈঠক করেছেন দুই দলের নেতৃত্ব৷ বৈঠকের পরে ভুট্টোর দলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “দেশের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে নেতাদের মধ্যে৷ আগামী দিনে কীভাবে দুই দল একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সেই নিয়েও কথা হয়েছে বিশদে৷ দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় ফেরাতে একত্রিত হয়ে কাজ করতে রাজি দুই দলের নেতৃত্বই৷”
কিন্ত্ত সরকার গঠনের আলোচনার মধ্যেই বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ছে নওয়াজ ও বিলাওয়ালের দল৷ ফল প্রকাশের পর দুই পক্ষই যুক্তি দেখিয়ে দাবি তুলেছে, তাদের দলের নেতাকেই প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো উচিত৷ পিএমএলএনের মতে, নওয়াজ বা শাহবাজ- দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একজনকেই ফের কুর্সিতে বসানো উচিত৷ অন্যদিকে পিপিপির মতে, বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী করা উচিত কারণ ধুঁকতে থাকা দেশের প্রয়োজন তরতাজা নেতৃত্ব৷ তাছাড়া পাকিস্তানের ৬০ শতাংশ জনতার বয়স তিরিশ বছরের নীচে৷ তাঁদের জন্য ৩৫ বছর বয়সি বিলাওয়াল একেবারে আদর্শ প্রধানমন্ত্রী৷
পাকিস্তানকে বাঁচাতে হবে, এটাই জোট সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য বলে দাবি দুই দলের৷