• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

স্টেডিয়ামকে জেলে রূপান্তরের কেন্দ্রীয় নির্দেশ খারিজ দিল্লির আপ সরকারের

দিল্লি, ১৩ ফেব্রুয়ারি: আজ, মঙ্গলবার পূর্ব ঘোষণা মতো পাঞ্জাবের ফতেগড় সাহিব থেকে দিল্লি চলো অভিযান শুরু করল কৃষকেরা। এই আন্দোলনে রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক কৃষক ইউনিয়ন। “দিল্লি চলো” ডাক দিয়ে দেশের জাতীয় রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে আন্দোলনকারী কৃষকরা। ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্যের জন্য ক্রমাগত কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে কৃষকরা। মোদি সরকার সেই বিষয়ে পদক্ষেপ

দিল্লি, ১৩ ফেব্রুয়ারি: আজ, মঙ্গলবার পূর্ব ঘোষণা মতো পাঞ্জাবের ফতেগড় সাহিব থেকে দিল্লি চলো অভিযান শুরু করল কৃষকেরা। এই আন্দোলনে রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক কৃষক ইউনিয়ন। “দিল্লি চলো” ডাক দিয়ে দেশের জাতীয় রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে আন্দোলনকারী কৃষকরা। ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্যের জন্য ক্রমাগত কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে কৃষকরা। মোদি সরকার সেই বিষয়ে পদক্ষেপ না করায় আজ, মঙ্গলবার দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছে একাধিক কৃষক সংগঠন। কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

একাধিকবার আর্জি জানানো সত্ত্বেও কৃষকদের কথায় কর্ণপাত করেনি কেন্দ্র সরকার। আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি ছিল, ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ। এব্যাপারে একটি নির্দিষ্ট আইন তৈরি করুক সরকার। কিন্তু সেই কথা শোনেনি কেন্দ্রের মোদী সরকার। যার ফলস্বরূপ ফের আন্দোলনে নামল কৃষকরা। তাঁরা “দিল্লি চলো” অভিযান শুরু করেছে। যা রুখতে মরিয়া কেন্দ্র।

কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্গে এই কৃষক আন্দোলন রুখতে চাইছে হরিয়ানা সরকারও। কেন্দ্র ও হরিয়ানা সরকারের তরফে নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ পদক্ষেপ। আন্দোলনরত কৃষকদের গ্রেপ্তার করতে চাইছে কেন্দ্র। আটকে রাখতে চাইছে রাজধানী দিল্লিতেই। এজন্য হাজার হাজার কৃষক আন্দোলনকারীদের আটকে রাখতে বাওয়ানা স্টেডিয়ামকে জেলে রূপান্তরিত করতে চাইছে মোদী সরকার।

কিন্তু এই স্টেডিয়ামটি দিল্লির আপ সরকারের নিয়ন্ত্রণে। এব্যাপারে দিল্লির আপ সরকারকে একটি নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেই নির্দেশে বলা হয়, বাওয়ানা স্টেডিয়ামকে জেলে রূপান্তরিত করা হবে, সেই কাজে অনুমতি দিক আপ সরকার। আপ সরকার সেই নির্দেশ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে। এবিষয়ে দিল্লির আপ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কৈলাস গেহলট আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, ‘কৃষকদের দাবি ন্যায্য। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার জন্য সকলের অধিকার রয়েছে। তাই কৃষকদের এইভাবে গ্রেপ্তার করা অনৈতিক।’