• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কৃষক আন্দোলন রুখতে হরিয়ানায় ৭টি জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা 

চণ্ডীগড়, ১১ ফেব্রুয়ারি – বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ফের পথে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন দেশের কৃষকেরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানার বিভিন্ন জেলা থেকে ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছেন এই কৃষকেরা। আগামী মঙ্গলবারই  রাজধানীতে পদযাত্রা এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের। এদিকে এই কৃষক আন্দোলন ‘রুখতে’ আগে থেকেই পদক্ষেপ করা শুরু করল হরিয়ানা সরকার। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হরিয়ানার সাতটি জেলায় মোবাইলের ইন্টারনেট

চণ্ডীগড়, ১১ ফেব্রুয়ারি – বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ফের পথে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন দেশের কৃষকেরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানার বিভিন্ন জেলা থেকে ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছেন এই কৃষকেরা। আগামী মঙ্গলবারই  রাজধানীতে পদযাত্রা এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের। এদিকে এই কৃষক আন্দোলন ‘রুখতে’ আগে থেকেই পদক্ষেপ করা শুরু করল হরিয়ানা সরকার। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হরিয়ানার সাতটি জেলায় মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, কৃষকদের রুখতে রাস্তায় ব্যারিকেড বসানোর কাজও শুরু করেছে পুলিশ।

ফসলের জন্য ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের গ্যারান্টি দেওয়ার আইন বা এমএসপি, কৃষকদের জন্য পেনশন, শস্য বিমা এবং তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিলের দাবিতে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লির রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকেরা। ফলে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে রাজধানীর রাজপথ।  জানা গিয়েছে, ২০০টির বেশি কৃষক সংগঠন এই আন্দোলনে সামিল হবে।

কৃষক আন্দোলনে লাগাম পরাতে ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মনোহর লাল খট্টর সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অশান্তি এড়াতে আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কইথাল, জিন্দ, হিসার, ফতেহাবাদ এবং সিরসা জেলায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। গ্রাহকেরা শুধু মাত্র ভয়েস কল করতে পারবেন। পাশাপাশি, বিক্ষোভকারীরা যাতে অন্যান্য জেলা থেকে হরিয়ানায় ঢুকতে না পারেন, সেই উদ্দেশ্যে রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও কঠোর করা হচ্ছে,  বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। অতিরিক্ত ৫০ কোম্পানি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর ফলে চণ্ডীগড় এবং দিল্লির মধ্যে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন   যাত্রীরা। তবে পুলিশের তরফে বিকল্প রাস্তার হদিস বলা  হয়েছে।

তবে প্রয়োজন ছাড়া পাঞ্জাব এবং দিল্লিতে না যাওয়ার জন্য হরিয়ানার মানুষকে পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির  লাগাতার একরোখা আন্দোলনের জেরে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে হয় নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ।  প্রত্যাহার করা হয় ‘বিতর্কিত’ কৃষি বিল। এবার ফের কৃষক আন্দোলনের শুরুতেই সচেতন সরকার।