• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

১৬ ফেব্রুয়ারি ভারত বনধের ডাক দিল কৃষক সংগঠনগুলি

দিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি – ভারত বনধের ডাক দিল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে, ততই শাসক শিবিরের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে কৃষক সংগঠনগুলি।  আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি গোটা দেশে গ্রামীণ বনধের সঙ্গে সঙ্গে শিল্প ধর্মঘটও হবে। আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, কলকারখানাগুলিতে শ্রমিক-কর্মচারীরা কোনও কাজ

দিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি – ভারত বনধের ডাক দিল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে, ততই শাসক শিবিরের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে কৃষক সংগঠনগুলি।  আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি গোটা দেশে গ্রামীণ বনধের সঙ্গে সঙ্গে শিল্প ধর্মঘটও হবে।
আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, কলকারখানাগুলিতে শ্রমিক-কর্মচারীরা কোনও কাজ করবেন না। কিষান মোর্চা ও শ্রমিক সংগঠনের সর্বভারতীয় প্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি  মোদি সরকার বিরোধী লিফলেট বিলি করছেন।
 
একাধিক দাবিতে ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। যে সব ইস্যুতে কৃষকরা বনধ ডেকেছেন সেগুলি হল , নূন্যতম সহায়ক মূল্য, বেকারত্ব ও পেনশনের দাবি, ও অগ্নিবীর প্রকল্পের বিরোধিতা। অন্যান্য সংগঠনকেও বনধ সমর্থনে আহ্বান জানানো হয়েছে ।  সেদিন কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, দোকানদার, পরিবহণ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, ‘আগে প্রতি অমাবস্যায় কৃষকরা কৃষি জমিতে যেতেন না। ১৬ ফেব্রুয়ারি আমরা অমাবস্যা পালন করব। আমাদের লড়াই ততদিন থামবে না যতদিন না নূন্যতম সহায়ক মূল্যকে আইনে পরিণত করা হচ্ছে।
 
প্রসঙ্গত, দিল্লির তিন সীমানায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কৃষকরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁরা তিন কৃষক আইন পাশ হওয়াকে রদ করেন। এই তিন আইন তাঁদের কাছে ছিল কালা কানুনের নামান্তর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই সময় ক্ষমা চাওয়ার পর তাঁর আন্দোলন তুলে নিয়েছিলেন বটে তবে জানিয়েছিলেন তাঁদের আন্দোলন শেষ হয়নি। শুধুমাত্র স্থগিত করা হয়েছে । ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে যতদিন না আইনে পরিণত করা হচ্ছে, লড়াই থামবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন কৃষকরা।
 
 শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র, মহিলা, কৃষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, বুদ্ধিজীবী ও সামাজিক আন্দোলনের বিভিন্ন ফোরাম যৌথভাবে কেন্দ্রীয় সরকারে কর্পোরেট মুনাফা-বর্ধক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য একটি আবেদন জারি করেছে।’ এসকেএম  ও সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ প্ল্যাটফর্ম বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সদস্য দলগুলিকে ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ধর্মঘট ও গ্রামীণ বনধকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে ।