• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দেশের অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করল এনডিএ সরকার ,  পাল্টা কৃষ্ণপত্র পেশ কংগ্রেসের 

দিল্লি, ৮ ফেব্রুয়ারি – অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করল কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। ইউপিএ জমানার সঙ্গে বর্তমান এনডিএ সরকারের তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে এই শ্বেতপত্রে।  বৃহস্পতিবার লোকসভায় ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে এই শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।  শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে মোদি সরকার যখন ক্ষমতায় আসে , তখন অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল।  সরকারি আর্থিক

দিল্লি, ৮ ফেব্রুয়ারি – অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করল কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। ইউপিএ জমানার সঙ্গে বর্তমান এনডিএ সরকারের তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে এই শ্বেতপত্রে।  বৃহস্পতিবার লোকসভায় ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে এই শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। 

শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে মোদি সরকার যখন ক্ষমতায় আসে , তখন অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল।  সরকারি আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ ছিল।  অব্যবস্থা ও ব্যাপক দুর্নীতি ছিল । কেন্দ্রের শ্বেতপত্র অনুযায়ী, ২০১৪ সালে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়।  এনডিএ সরকার সাহসী পদক্ষেপ করে সংস্কার এনেছে। ইউপিএ সরকারের চ্যালেঞ্জ গুলি কাটিয়ে উঠছে। শ্বেতপত্রে আরও লেখা হয়েছে, এখনও অনেক কাজ বাকি। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হবে। এই সময়কে ‘কর্তব্যকাল’ বলে শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।      
 
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্বেতপত্রের পাল্টা কৃষ্ণপত্র পেশ করে কংগ্রেস। বিগত ১০ বছরে মোদি সরকারের জমানায় মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব ও কৃষকদের সমস্যা নিয়ে এবং সরকারের ব্যর্থতা নিয়েই এই কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করা হয় বলে কংগ্রেসের দাবি। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করে বলেন, “অর্থনীতিকে ব্যর্থ করেছে এই সরকার। ১০ বছর ধরে হেনস্থা করে, চাপ সৃষ্টি করে টাকা আদায় করা হয়েছে, সেই টাকা নির্বাচনে ঢালা হয়েছে।”

খাড়্গে বলেন, “আমরা সরকারের বিরুদ্ধে এই কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করছি কারণ যখনই ওরা সংসদে কথা বলেন, ওরা শুধুমাত্র নিজেদের সাফল্য নিয়ে কথা বলে। কখনও ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলে না। এমনকী, আমাদেরও বলতে দেওয়া হয় না। এভাবেই অর্থনীতিকে ব্যর্থ করেছে এই সরকার।”

কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, “আমাদের দেশে বেকারত্ব সবথেকে বড় সমস্যা। কিন্তু ওরা কখনও এই বিষয় নিয়ে কথা বলে না। ১০ বছরের হিসাব, পরিসংখ্যান তুলে ধরার কথা বলেন, কিন্তু কংগ্রেসের জমানায় কত কর্মসংস্থান হয়েছিল, বিজেপির শাসনে কত ভাল চাকরি হয়েছে, তা তুলে ধরেন না কেন আপনারা?”

প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি কংগ্রেস সভাপতি। মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, “জওহরলাল নেহরুর তৈরি পাবলিক সেক্টরগুলি, যেখান থেকে বিপুল কর্মসংস্থান হয়েছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন না। আপনারা ইন্দিরজি, রাজীবজি ও নেহরুজিকে আক্রমণ করেন, অপমান করেন। কর্নাটক, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্য বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।।”

কৃষ্ণপত্র নিয়ে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই প্রচেষ্টা অত্যন্ত ভাল। দেশের প্রগতিতে যাতে নজর না লাগে, তার জন্য এই ‘কালো টিকা’ অত্যন্ত জরুরি ছিল। যখন ভাল কিছু হয়, তখন কালো টিকা নজর থেকে বাঁচায়। এই ব্যবস্থাকেও স্বাগত জানাচ্ছি।” তিনি বলেন, পরিবারে যদি কোনও সন্তান হয়, কারও নজর যাতে না লাগে, সে জন্য কালো টিকা পরিয়ে দেওয়া হয়।