বহুকাল যাবৎ মানুষের নন ভেজ ছেড়ে ভেজ অর্থাৎ নিরামিষী খাবারের দিকে ঝোঁক বেড়েছে৷ যার পেছনে যেমন রয়েছে স্বাস্থ সচেতনতা আবার রয়েছে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখারে বিষয়টিও৷ আপনিও কি ভাবছেন না এবার নিরামিষী হলে কেমন হয়৷ দাড়ান, দাড়ান আগে ‘রাইস রোটি রেট’ কি বলছে তা তো জেনে নিন৷ দামে আমিষ থালিকে অনেকটা পিছনে ফেলল নিরামিষ থালি৷ এই জানুয়ারি মাসেই ৫ শতাংশ দাম বেডে় গিয়েছে ভেজথালির৷ যেখানে ননভেজ থালির দাম পডে় গিয়েছে ১৩ শতাংশ৷ ভাবছেন দূর বাবা, এতো বাজেটের বারোটা বেজে যাবে৷ পকেটে টান ধরাতে এই খবর যথেষ্ট৷ মোটের উপর এই রিপোর্ট বলছে, প্রথম বছরের প্রথম মাসে নিরামিষভোজীদের পকেটে বেশ ভালই চাপ পডে়ছে৷
সম্প্রতি কৃসিল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালিটিক্সের গবেষণায় ‘রাইস রোটি রেট’ শীর্ষক তথ্যে ধরা পডে়ছে ডাল, ভাত, পেঁয়াজ, টমেটো দিয়ে ঘরে তৈরি করা যায় এমন সাধারণ খাবারের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেডে়ছে জানুয়ারি মাসেই৷ সেখানে পোলট্রিজাত জিনিসের দাম আবার পড়তির দিকে৷কিন্ত্ত কেন এমন ছবি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক বছরে খোলা বাজারে টমেটো আর পেঁয়াজের দাম যথাক্রমে ২০ শতাংশ ও ৩৫ শতাংশ হারে বেডে়ছে৷ ভেজথালির ১২ শতাংশ দাম ধরা থাকে ভাতে৷ আর ৯ শতাংশ দাম ধরা থাকে ডালে৷ সেই ভাতের দাম বেডে়ছে ১৪ শতাংশ৷ ডাল বেডে়ছে ২১ শতাংশ৷ সেখানে ননভেজ থালির দাম এই জানুয়ারিতেই অনেকটা পডে়ছে৷
গত বছরের তুলনায় যা ২৬ শতাংশ কম৷ তার একমাত্র কারণ পোলট্রিজাত দ্রব্যের উৎপাদন অনেক বেশি হওয়ার ফলে দাম কমে যাওয়া৷ যদিও মাসের হিসাব করলে ভেজ থালি ও ননভেজ থালির দাম কমেছে যথাক্রমে ৬ ও ৮ শতাংশ হারে৷ তার পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, টমেটো ও পেঁয়াজের দাম যথাক্রমে কlয়ক মাসে ১৬ শতাংশ ও ২৬ শতাংশ হারে পডে়ছে বলেই থালির দামে এমন হেরফের৷ ম
ূলত পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি ও টমেটোর রফতানিতে প্রতিবন্ধকতার জন্য দামে এমন প্রভাব পডে়ছে৷ ননভেজ থালিতে দেখা যাচ্ছে গত কlয়ক মাসে ৮-১০ শতাংশ হারে দাম পডে়ছে৷ পোলট্রিজাত সামগ্রীর দাম পডে় যাওয়াই যার মূল কারণ৷ একটি ননভেজ থালির ৫০ শতাংশ দাম নির্ভর করে ডিম বা মুরগির মতো পোলট্রিজাত সামগ্রীর উপর৷
