• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কাগজের নোটের বেহাল দশা, তবুও প্লাস্টিকের নোটে না অর্থ দফতরের

দিল্লি, ৮ ফেব্রুয়ারি– দোকানদারের কাছে ১০ টাকার নোটটি পাওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল শতকাল যাবৎ যত্নহীন মোচড়ানো-নোংড়া শত হেলায় পড়ে থাকা এটি একমাত্র নোট৷ হাতে ধরলেই হয়তো ছিড়ে শ’টুকরো হবে ভয়ে দোনাকদারকে পাল্টে দিতে বলতেই দোকানদার তার ঝুলি দেখিয়ে আমায় বলল দিদি, এখানে এইরকমই নোটই ভর্তি৷ কোনটা দেব বলুন৷ সত্যিই তার ঝুলি দেখে আমার প্রায়

দিল্লি, ৮ ফেব্রুয়ারি– দোকানদারের কাছে ১০ টাকার নোটটি পাওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল শতকাল যাবৎ যত্নহীন মোচড়ানো-নোংড়া শত হেলায় পড়ে থাকা এটি একমাত্র নোট৷ হাতে ধরলেই হয়তো ছিড়ে শ’টুকরো হবে ভয়ে দোনাকদারকে পাল্টে দিতে বলতেই দোকানদার তার ঝুলি দেখিয়ে আমায় বলল দিদি, এখানে এইরকমই নোটই ভর্তি৷ কোনটা দেব বলুন৷ সত্যিই তার ঝুলি দেখে আমার প্রায় ভিমরি খাওয়ার যো৷ তবে শুধু এই দোকানদার নয় কাগজের টাকার হাল কিছুদিন পরেই যা হয়ে যা তা সবারই জানা৷ কাগজের এই বেহাল দশা রুখতে কি এবার কি সেই সমস্যার সমাধানের দিকেই এগোবে ভারত সরকার৷
ভারতে কাগজেই ছাপা হয় মুদ্রানোট৷ তবে, অতি ব্যবহারে অল্প দিনের মধ্যেই নোটগুলি নষ্ট হয়ে যায়৷ এই কারণে অনেক দেশেই নোট তৈরি করতে ব্যবহার করা হচ্ছে প্লাস্টিক৷ এমনকি প্রতিবেশি বাংলাদেশেও প্লাস্টিকের তৈরি নোট রয়েছে৷ সকলেই জানেন, প্লাস্টিক এমন এক উপাদান, যা সহজে নষ্ট হয় না৷ বস্তুত, সহজে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যায় না বলেই, দূষণ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ প্লাস্টিকের এই দোষ বা গুণই মুদ্রা নোটের স্থায়িত্ব বাড়াতে সহায়ক হয়৷
যদিও সম্প্রতি এই সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন অর্থ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরী৷ রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এক লিখিত উত্তরে তিনি বলেছেন, প্লাস্টিকের নোট চালু করার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার৷ ভারতীয় মুদ্রানোটগুলির স্থায়িত্ব বাড়ানো এবং নোট জাল প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে নোটে সুরক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা একটি চলমান প্রক্রিয়া বলে জানিয়েছেন তিনি৷ কিন্ত্ত এখনও প্লাস্টিকের নোট ছাপার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়নি৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, রিজর্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বছর নোট ছাপার পিছনে মোট খরচ হয়েছে ৪,৬৮২.৮০ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে প্লাস্টিকের নোট ছাপানোর জন্য কোনও খরচ করা হয়নি৷ পঙ্কজ চৌধরী বলেছেন, “১৯৩৪ সালের ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইনের ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী সরকার প্লাস্টিকের নোট চালু করার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি৷ ভারতীয় নোটের স্থায়িত্ব এবং জাল প্রতিরোধ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা একটি চলমান প্রক্রিয়া৷”