জানা গিয়েছে, রবিবার নয়াদিল্লির রেল স্টেশন থেকে আটক করা হয় রিয়াজকে৷ তার পরেই তাকে গ্রেপ্তার দিল্লি পুলিশ৷ গোয়েন্দা মারফৎ তথ্য পেয়েই পুলিশ গ্রেফতার করে রিয়াজকে৷ পুলিশের দাবি, এই রিয়াজ একসময় ভারতীয় সেনা দলে ছিল৷ অবসরের পরে কীভাবে লস্কর গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হয়ে উঠল তা জানা নেই৷ অনুমান, কুপওয়াড়ার লস্কর-মডিউলের অন্যতম সদস্য ছিল এই রিয়াজ আহমেদ৷ তার সঙ্গেই ধরা পডে়ছে আরও দু’জন খুরশিদ আহমেদ রাথার ও ঘলাম সারওয়ার রাথার৷ এই দুজনও কুপওয়াড়ার লস্কর-মডিউলের হ্যান্ডলার বলেই দাবি দিল্লি পুলিশের৷
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সেনা জানায় কুপওয়ারায় লস্কর-ই তৈবা জঙ্গি মডিউলের পর্দা ফাঁস হয়েছে৷ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সেনার তৎপরতায় কুপওয়াড়ার লস্কর-মডিউলকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া গেছে৷ জম্ম পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, ওই মডিউলের কয়েকজন সক্রিয় সদস্য পলাতক৷ তাদের খোঁজেই দেশের নানা প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চলছিল৷ দিল্লি পুলিশের দাবি, লস্কর জঙ্গি সন্দেহে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যেই একজন পলাতক রিয়াজ৷
গোয়েন্দা সূত্র বলছে, লস্কর-ই-তৈবা কিছু দিন ধরেই ভারতে হামলার ছক কষছে৷ কারণ, আইএসের সঙ্গে তাদের প্রতিযোগিতা৷ বিশ্বের বড় অংশে জেহাদি আন্দোলনের রাশ এখন আইএসের হাতে৷ ভারতেও প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে আইএস৷ ভারত-বাংলাদেশ যে তাদের নিশানায় রয়েছে, তা-ও অনুমান করছেন গোয়েন্দা অফিসাররা৷ এই পরিস্থিতিতে অস্তিত্ব জানান দিতে নাশকতা ঘটাতে চাইছে লস্কর জঙ্গিরা৷ যাদের মদত দিচ্ছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই৷ কুপওয়ারায় এমনই এক লস্কর-মডিউল তৈরি হয়েছিল যেখানে অস্ত্রশস্ত্র আমদানি হচ্ছিল৷
দিল্লি পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রিয়াজ ও ধৃত দু’জন নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রশস্ত্র পাচারের কাজ করত৷ লস্করের জন্য আসা আগ্নেয়াস্ত্র সীমান্ত পার করিয়ে নিয়ে আসার দায়িত্ব ছিল তাদের উপরে৷ পাশাপাশি, পাক লস্কর গোষ্ঠীর হ্যান্ডলারদের জম্মু-কাশ্মীরে অনু্প্রবেশ করিয়ে আশ্রয় দেওয়ার কাজও হত৷ ধৃতদের জেরা করে এ ব্যাপারে জানার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷