সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের আস্থা ভোট বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন হেমন্ত। গত ৩১ জানুয়ারি হেমন্তকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। এর আগে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অবস্থায় গ্রেফতারের নজির নেই। গ্রেফতার করে তাঁকে রাজভবনে নিয়ে যায় ইডি। সেখানে তিনি পদত্যাগ করেন। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন চম্পাই সোরেন। তাঁর আস্থা ভোটে হেমন্তকে যোগদানের অনুমতি দেয় আদালত। কড়া প্রহরায় তাঁকে জেল থেকে বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানেই আস্থা ভোটের বিতর্কে রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণানকে উদ্দেশ্য করে তোপ দাগেন হেমন্ত। বলেন, ‘বিজেপিকে সরকার গড়ার সুযোগ করে দিতে ইডিকে চাপ দিয়ে আমাকে গ্রেফতার করানো হয়েছে।’ ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত এদিন বিধানসভায় ইডিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, অভিযোগ প্রমাণ হলে রাজনীতি তো বটেই, ঝাড়খণ্ড ছেড়ে চলে যাব।
রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণান তামিলনাড়ুর।তিনি তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি ছিলেন। দুবার কোয়েম্বাটোর থেকে লোকসভার সদস্য হন। গত বছর তাঁকে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল করে পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। আগের রাজ্যপাল বিডি ব্যাসের সঙ্গেও হেমন্তের সম্পর্ক ভাল ছিল না। ব্যাসের নির্দেশেই ইডি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জমি কেনাতে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে।
রাজ্যপাল সম্পর্কে কোনও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এমন অভিযোগ নজিরবিহীন। রাজ্যপালকে নিয়ে হেমন্তের অভিযোগ সম্পর্কে রাজভবন এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। রাজ্যপালের তরফেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। দেশের রাজনীতির ইতিহাসে কোনও রাজনীতিক হেফাজতে থাকাকালীন আইনসভায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য রেখেছেন এমন কোন নজির আগে কখনো ছিল কিনা তা মনে করতে পারেননি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।