লন্ডন, ৪ ফেব্রুয়ারি: ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একাধিক ঘাঁটিতে যৌথ হামলা চালাল আমেরিকা ও ব্রিটেন। তাদের প্রায় ৩৬টি ঘাঁটিতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের জবাব দিতে আকাশপথে এই চালানো হয় বলে জানিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।
প্রসঙ্গত বিগত কয়েকমাস ধরে ইজরায়েলের বন্ধু রাষ্ট্রগুলির বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে হুথি গোষ্ঠী। প্যালেস্তাইনের পাশে দাঁড়িয়ে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর হামলার জবাব দিতেই বারবার হামলা চালায় হুথিরা। একাধিক সতর্ক বার্তা সত্ত্বেও কোনও কর্ণপাত করেনি এই জঙ্গিগোষ্ঠী। লোহিত সাগরের মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক করিডরে ইয়েমেন থেকে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ব্যবসা ব্যাহত করছে হুথি গোষ্ঠী। গত জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে একই কারণে এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে দমন করতে তাদের ওপর হামলা চালায় আমেরিকা ও ব্রিটেন। এবার ফের তাদের দমনে নামল যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বাহিনী। এই হামলায় সমর্থন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডেভিড শ্যাঙ্কার ইয়েমেনে হুথিদের ওপর হামলার বিষয়ে বিবিসির সাথে কথা বলেছেন। এই অঞ্চলের বর্তমান ল্যান্ডস্কেপের কথা উল্লেখ করে শ্যাঙ্কার বলেছেন, সুয়েজ খালে জাহাজের ট্রাফিক ৫০ শতাংশ কমে গেছে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, “হুথিদের বিষয়ে অবশ্যই কিছু করতে হবে। এটা শুরু মাত্র।”
গত রবিবার ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গ্রুপের জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ছাউনিতে ভয়াবহ ড্রোন হামলার জবাবে সিরিয়া ও ইরাকের বিভিন্ন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ঘটনার একদিন পর গতকাল শনিবার রাতে ইয়েমেনে হুথিদের ঘাঁটিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। একটি যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইয়েমেনের ১৩ টি লোকেশনের ৩৬ টি টার্গেটে এই হামলা চালানো হয়। এর লক্ষ্যবস্তু হিসেবে “অস্ত্র মজুদ কেন্দ্র, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং লঞ্চার, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রাডার” এ হামলা চালানো হয়েছে । ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, নতুন এই হামলা ‘তীব্রতা বৃদ্ধি নয়’ এবং হুথিদের ক্ষমতাকে “আরো অবনমিত করার বিদ্যমান মিশনেরই একটা অংশ”।
তবে এই হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা জানা যায়নি। হুথিদের কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেবিষয়েও কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি।