দাবি জাস্টিন ট্রুডো সরকারের গুপ্তচর বাহিনীর রিপোর্টে
ওটাওয়া, ৩ ফেব্রুয়ারি– খালিস্তানির পর এবার নির্বচন৷ আবার ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলল কানাডা৷ খালিস্তানি জঙ্গি খুনের ঘটনা নিয়ে আগেই ভারতকে অভিযুক্ত করেছে ট্রুডো সরকার৷ এবার সে দেশের ভোটে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনার কাঠগড়ায় তোলা হল ভারতকে৷ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের অভিযোগ, তাদের ভোটে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতে পারে নয়াদিল্লি৷
কানাডার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ’ করতে পারে ভারত৷ ভারতের বিরুদ্ধে এমকটাই সম্ভাবনার কথা লিখেছে কানাডার সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল নিউজ’৷ সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা (সরকারি ভাষায়, ‘বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা’) ‘কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস’-এর একটি রিপোর্ট ফাঁস করেছে তারা৷ সেই রিপোর্টে দাবি, ওই সম্ভাবনা সত্যি হলে তা কানাডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ক্ষতিকর হবে বলেও জানানো হয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টে৷
প্রসঙ্গত, এর আগে ‘কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস’-এর রিপোর্টে রাশিয়া এবং চিনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তোলা হয়েছিল৷ এই ঘটনার জেরে পাঁচ মাস পরে আবার ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সংঘাতের আবহ তৈরি হল বলেই মনে করা হচ্ছে৷ কানাডা সরকারের ওই সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতেই গত ১৮ সেপ্টেম্বর খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরের খুনের জন্য কানাডার পার্লামেন্টে দাঁডি়য়ে ভারতকে নিশানা করেছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো৷ গত জুন মাসে খালিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ (কেটিএফ)-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়৷ সেই ঘটনার তদন্তে ভারতের গুপ্তচর সংস্থার ভূমিকা ছিল বলে জানিয়ে ট্রুডো বলেছিলেন, ‘‘আমাদের তদন্তকারী সংস্থাগুলি এ বিষয়ে আরও বিশদে তদন্ত করছে৷” ট্রুডোর ওই মন্তব্যের পরেই নয়াদিল্লি-অটোয়া কূটনৈতিক সংঘাত তুঙ্গে উঠেছিল৷ প্রথমে কানাডার এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়৷ সে দেশের বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি জানিয়েছিলেন, ওই ব্যক্তি ‘র’-এর কানাডার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলাতেন৷ ওই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় নরেন্দ্র মোদি সরকার কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককে পাঁচ দিনের মধ্যে দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ দেয়৷ পাশাপাশি, নিজ্জর খুনের ঘটনায় দায় অস্বীকার করে ভারত৷ পরবর্তী পদক্ষেপে কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়৷ যার প্রতিক্রিয়ায় ট্রুডো সরকার ভারতে অবস্থানকারী কানাডার নাগরিকদের উদ্দেশে ‘বিশেষ নিরাপত্তামূলক সতর্কতা’ জারি করে৷