• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

তৃণমূলকে ছাড়তে নারাজ জোট, উত্তর-পূর্বে আসন দিয়ে সমঝোতা কংগ্রেসের

দিল্লি, ৩ ফেব্রুয়ারি– দেশ থেকে বিজেপি সরাও অভিযান শুরু করে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের গঠন করেছিল দেশের বিরোধী পক্ষের প্রায় ২৬টি দল৷ কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগেই সেই জোট ভেঙে খানখান৷ একদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যোগ দিয়েছেন বিজেপি জোটে৷ আপের সঙ্গে জোট ভেঙেছে আগেই৷ অন্যদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ক্রমাগত একলা চলো বলেই চলেছেন৷ তবে নীতীশ বা কেজরিওয়ালকে ততটা গুরুত্ব

দিল্লি, ৩ ফেব্রুয়ারি– দেশ থেকে বিজেপি সরাও অভিযান শুরু করে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের গঠন করেছিল দেশের বিরোধী পক্ষের প্রায় ২৬টি দল৷ কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগেই সেই জোট ভেঙে খানখান৷ একদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যোগ দিয়েছেন বিজেপি জোটে৷ আপের সঙ্গে জোট ভেঙেছে আগেই৷ অন্যদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ক্রমাগত একলা চলো বলেই চলেছেন৷ তবে নীতীশ বা কেজরিওয়ালকে ততটা গুরুত্ব না দিলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যে জোটের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা মেনে‌ে নিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা৷ আর তই সামান্য হলেও বাংলায় এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে লড়ার আলো দেখছে কংগ্রেস৷ তৃণমূলকে খুশি করতে তাই প্রয়োজনেঅসম বা মেঘালয়ে এক-আধটি আসন ছাড়তেও রাজি দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল৷ তবে আম আদমি পার্টির মেঘালয়ে আসনের দাবিকে কোনও আমলই দিচ্ছে না কংগ্রেস৷

তবে জোট ভাঙার কারণ হিসেবে যে শুধু কংগ্রেসের সঙ্গে অন্যান্য দলগুলির সঙ্গে আসন সমঝোতা না হওয়াই দাই তা মানতে নারাজ কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতারা৷ তাদের মতে, আসন সমঝোতায় সিলমোহর দিতে কংগ্রেস হাইকমান্ডের ঢিলেমি৷ রাজ্যের শাসক দল ও শীর্ষনেতৃত্বের প্রতি প্রদেশ নেতৃত্বের লাগাতার বিষোদগার৷ রাজ্যের নেতাদের গুরুত্ব দিতে গিয়ে তাদের দাবি মেনে নিয়েই কংগ্রেসের অত্যধিক আসন চেয়ে বসা, এই ধরনের নানা কারণে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট কার্যত বিশ বাঁও জলে৷ ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিয়েছেন, নির্বাচনের পরে কী সমীকরণ হবে, তা তখন দেখা যাবে৷

তৃণমূল তরফে ঘোষণা করে বলা হয়েছে লোকসভা নির্বাচনে একাই ৪২টি আসনে লড়বে তারা৷ রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব বাড়তে দেখে সুযোগ নিতে প্রস্তুত বাংলার বামদল৷ ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধির নেতৃত্বাধীন ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রায় যোগ দিয়ে কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে আসন সমঝোতার বার্তা দিয়ে এসেছেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম৷ বর্তমান আবহে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ব্যাখ্যা রাজ্যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে ত্রিমুখী৷ তৃণমূল বনাম বিজেপি বনাম কংগ্রেস-বাম জোট৷ যদিও কংগ্রেসের কর্মসমিতির এক সদস্যের বক্তব্য অনুযায়ী, এখনই আলোচনার সব দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন না তাঁরা৷

কংগ্রেসের শীর্ষ স্থানীয় কিছু নেতার মতে, তৃণমূল যদি বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে সম্মানজনক সমঝোতায় রাজি হয়, সেক্ষেত্রে অসমে সুস্মিতা দেবের কেন্দ্র শিলচর ও মেঘালয়েও একটি আসন ছাড়া যেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসকে৷ অসমের ক্ষেত্রে শিলচর কেন্দ্রে প্রথমে সন্তোষমোহন দেব ও পরে তাঁর কন্যা সুস্মিতার দীর্ঘদিন সাংসদ থাকার ইতিহাস এবং মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটপ্রাপ্তির কথা মাথায় রেখে দুই আসন বিশিষ্ট মেঘালয়ে একটি লোকসভা আসন ছাড়তে সমস্যা নেই কংগ্রেসের৷ তবে আম আদমি পার্টির আসনের দাবিকে গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না৷

কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছে, যদি বাংলায় আসন সমঝোতা না হয়, তা হলে কংগ্রেসের থেকেও ক্ষতি বেশি হবে তৃণমূলের৷ রাহুলের মালদহে জনজোয়ার দেখার পর থেকে কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, গতবারের জেতা দু’টি আসনে তাঁরা তো জিতবেনই৷ সঙ্গে আসতে পারে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র দুটিও৷ এই আবহে যদি বিজেপি বাংলায় গতবারের থেকে ভালো ফল করে, সেক্ষেত্রে ক্ষতি হবে তৃণমূলেরই৷ তাই শেষ মুহূর্তে কোনও না কোনও সমঝোতা সূত্র সামনে এলেও আসতে পারে৷