কলকাতা, ২৯ জানুয়ারি: কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, স্কুলে বহু নিয়োগ করতে চায় রাজ্য। কিন্তু আদালতের জটিলতার জন্য সেই নিয়োগ আটকে রয়েছে। এজন্য মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের শাসক বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে দোষারোপ করেন। এই নিয়োগ জটিলতা কাটাতে আদালতকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান মমতা। অবশেষে লোকসভা ভোটের ঠিক আগের মুহূর্তে সেই জটিলতা কাটতে চলেছে। স্থগিত রাখা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছাড়পত্র দিল দেশের শীর্ষ আদালত। ফলে রাজ্যে প্রাথমিক স্তরে মোট ১১,৭৬৫টি শূন্যপদে নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না। যার নিয়োগপত্র আগে থেকেই তৈরি করে রেখেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র সরকার। ২০২০ সালের সেই নির্দেশিকায় বলা হয়, প্রাথমিকে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হতে গেলে ডিএলএড বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি, আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, এক্ষেত্রে বিএড ডিগ্রী প্রাথমিকের শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। আদালতের এই নির্দেশের পর প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা ডিএলএড কোর্সে ভর্তি হয়ে যান। কিন্তু সেই কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই নিয়োগের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ শুরু করে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০২২ সালে এই নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেসময় অনেকে ডিএলএড শংসাপত্র হাতে পেয়ে যান। আবার অনেকে তখনও ডিএলএড শংসাপত্র হাতে পাননি। ফলে যাঁরা ডিএলএড শংসাপত্র হাতে পাননি, তাঁরা শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয় একাধিক সংশয়। যার জেরে ডিএলএড শংসাপত্র হাতে পাওয়া এবং শংসাপত্র পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীদের উভয় পক্ষই আদালতের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়ায়। প্রাথমিকের নিয়োগের ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হওয়া সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ জারি করে। অবশেষে প্রায় দেড় বছর পর আজ সুপ্রিম কোর্ট সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় প্রাথমিকে ১১,৭৬৫ শূণ্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইলো না।