• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অর্থনীতির হাল ফেরাতে চাষের মাঠে পাকিস্তানের সেনা

২৭ জানুয়ারি – অর্থনৈতিকভাবে জর্জরিত পাকিস্তানে এবার চাষের মাঠে সেনাবাহিনী। দেশের অর্থ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবার চাষ করতে নামছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। যে হাতে তারা যুদ্ধাস্ত্র তুলে নেয় , রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে সামিল হয় , সেই হাতই এবার জমিতে লাঙল দেবে, বীজ বপন করবে, ফসল তুলবে। পাক মিডিয়া সূত্রে খবর, পাঞ্জাব এবং সিন্ধ প্রদেশে কর্পোরেট ফার্মিং শুরু করছে পাকিস্তান

২৭ জানুয়ারি – অর্থনৈতিকভাবে জর্জরিত পাকিস্তানে এবার চাষের মাঠে সেনাবাহিনী। দেশের অর্থ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এবার চাষ করতে নামছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। যে হাতে তারা যুদ্ধাস্ত্র তুলে নেয় , রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে সামিল হয় , সেই হাতই এবার জমিতে লাঙল দেবে, বীজ বপন করবে, ফসল তুলবে। পাক মিডিয়া সূত্রে খবর, পাঞ্জাব এবং সিন্ধ প্রদেশে কর্পোরেট ফার্মিং শুরু করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এর জন্য, সম্প্রতি ‘মেসার্স গ্রিন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও করেছে পাক সেনা। 

পাকিস্তানের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে  ‘স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট ফেসিলিটেশন কাউন্সিল’ তৈরি করা হয়েছে। সেই কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানেই এই প্রকল্পের পরিকল্পনা। প্রকল্পের জন্য প্রায় ৫২ হাজার ৭১৩ একর অনুর্বর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে । ২০ বছরের জন্য ওই জমি সেনাবাহিনীকে লিজ দেওয়া হবে। তা দেখভাল থেকে শুরু করে সমস্ত নিয়ন্ত্রণ থাকবে সেনাবাহিনীর হাতে, তবে জমির মালিকানা সরকারেরই থাকবে। গ্রিন করপোরেট ইনিশিয়েটিভ লিমিটেড, লাভের ২০ শতাংশ স্থানীয় এলাকায় গবেষণা এবং উন্নয়নে ব্যয় করবে। ৪০ শতাংশ যাবে সরাসরি  সরকারের ঘরে। লাভের অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ স্থানীয় পরিকাঠামো, সেচ, সৌরচালিত জল সরবরাহ প্রকল্প, স্কুল, হাসপাতালের মতো উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজে ব্যয় করা হবে।

তবে পাকিস্তান সেনা কৃষিকাজ ছাড়া অন্য কোনরকম কাজে এই জমি ব্যবহার করতে পারবে না। ওই জমিতে কোনও ব্যবসা বা অন্য কোন কাজকর্ম করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। জমি অধিগ্রহণের আগে সবকিছু খুঁটিয়ে জরিপ করা হবে। জমিটি সংরক্ষিত  কি না , সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্থান, জনবসতিপূর্ণ এলাকা, ম্যানগ্রোভ অরণ্য, বনভূমি, চারণভূমি, কবরস্থান, ঐতিহাসিক জলপথের মধ্যে পড়ে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয় জনগণ যাতে কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই প্রকল্পের জন্য একটি পরিচালন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য এই বোর্ডের সদস্যরা সব সিদ্ধান্ত নেবেন।

কয়েক বছর ধরেই খারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পাকিস্তান। পাকিস্তানি টাকার দাম তলানিতে ঠেকেছে। জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বি। তন্বৈ পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারেও ।এরই পাশাপাশি রয়েছে রাজনৈতিক সংকট। এই উভয় সংকটের মুখে অর্থিনীতির হাল ফেরাতে অভিনব উদ্যোগ পাকিস্তানী সেনার।