• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

মারাঠা সংরক্ষণের দাবিকে মান্যতা সিন্ধে সরকারের, আপত্তি তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের

মুম্বই, ২৭ জানুয়ারি: অবশেষে রাজ্যের ওবিসিভুক্ত মারাঠা সম্প্রদায়কে শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে দেওয়া হচ্ছে সংরক্ষণ। সরকার দাবি মেনে নিতেই উঠে গেল মারাঠা সংরক্ষণ আন্দোলন। গতকাল সংগঠনের প্রধান মনোজ জারাঙ্গে এই আন্দোলন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সংগঠনের নেতা মনোজ জারাঙ্গে পাটিলের সঙ্গে দেখা করেন সিন্ধে সরকারের দুই মন্ত্রী। তাঁরা তাঁদের দাবি মেনে

মুম্বই, ২৭ জানুয়ারি: অবশেষে রাজ্যের ওবিসিভুক্ত মারাঠা সম্প্রদায়কে শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে দেওয়া হচ্ছে সংরক্ষণ। সরকার দাবি মেনে নিতেই উঠে গেল মারাঠা সংরক্ষণ আন্দোলন। গতকাল সংগঠনের প্রধান মনোজ জারাঙ্গে এই আন্দোলন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সংগঠনের নেতা মনোজ জারাঙ্গে পাটিলের সঙ্গে দেখা করেন সিন্ধে সরকারের দুই মন্ত্রী। তাঁরা তাঁদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেই আন্দোলন তুলে নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধের হাতে সরবত খেয়ে অনশন ভাঙেন জারাঙ্গে।

মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, সরকারে আসার আগে আন্দলোনকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। এবার সেই দাবি পূরণ করে আন্দোলনকারীদের কথা রাখলাম। সিন্ধে বলেন, ‘তিনি একজন কৃষকের ছেলে। আপনারা কী অনুভব করছেন তা আমি জানি। আমি সংরক্ষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তা আমি পূরণ করেছি। আমাদের সরকার ভোটের কথা ভেবে কিছু করে না। মানুষের কথা ভেবে কাজ করে’।

প্রসঙ্গত মারাঠা ওবিসি সম্প্রদায়ের দীর্ঘ আন্দোলনের পর অবশেষে দাবি মেনে নিল মহারাষ্ট্র সরকার। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের আওতায় এনে কুনবি সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। সম্প্রতি মনোজ জারাঙ্গের নেতৃত্বে সেই আন্দোলন আরও তীব্র হতে থাকে। আক্রান্ত হন মহারাষ্ট্র সরকারের একাধিক মন্ত্রী। দাবি পূরণে এক মন্ত্রীর বাসস্থানেও অগ্নি সংযোগ করে আন্দোলনকারীরা। এদিকে সামনেই লোকসভা ভোট। ক্রমাগত এই আন্দোলন বাড়তে থাকলে মহারাষ্ট্রের একনাথ সরকারের কাছে সেটা অশুভ ইঙ্গিত হতে পারে। সেজন্য ঝুঁকি না নিয়ে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিল একনাথ সিন্ধে সরকার।

এদিকে এই সিদ্ধান্তে ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছে সিন্ধে মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য ও শরিক দল এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার ও ছগন ভুজবল। তাঁরা বলেন, এই সিদ্ধান্ত “অবৈধ ও অস্বচ্ছ”। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ভুজবল বলেন, সরকার মারাঠা সম্প্রদায়ের আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলনকারীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। মারাঠা ওবিসি সম্প্রদায়ের ওপর এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা সুর চড়াবেন।