• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রাম মন্দির নির্মাণে অর্থ দানের ক্ষেত্রে আম্বানি -আদানিকে টেক্কা দিলেন রাম-কথক মোরারি বাপু 

অযোধ্যা, ২৫ জানুয়ারি – সোমবার, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে। শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ, চিত্রতারকা থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ – রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দান করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন মাপের মানুষ। যাঁর যেমন ক্ষমতা প্রানভরে দান করেছেন অগণিত মানুষ। তবে সবথেকে বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া গেল শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষের

অযোধ্যা, ২৫ জানুয়ারি – সোমবার, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে। শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ, চিত্রতারকা থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ – রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দান করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন মাপের মানুষ। যাঁর যেমন ক্ষমতা প্রানভরে দান করেছেন অগণিত মানুষ। তবে সবথেকে বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া গেল শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষের মুখে।  তিনি জানান,  মন্দির নির্মাণে এই পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১,১০০ কোটি টাকারও বেশি। তিনি জানান ,  রাম মন্দির নির্মাণে  এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি অর্থ  দান করেছেন মুকেশ অম্বানী বা গৌতম আদানি নন,  তাঁর  নাম মোরারি বাপু। গুজরাটের এক আধ্যাত্মিক নেতা তথা রামকথার কথক।  রামকথা পাঠ করে শোনান তিনি।

ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে রামায়ণ পাঠ ও রামের মহিমা  প্রচার করে আসছেন মোরারি বাপু। আধ্যাত্মিক এই নেতার রামায়ণ পথ সর্বজনবিদিত। মন্দির নির্মাণে অর্থনৈতিক দিক থেকে তাঁর অবদানই সবথেকে বেশি বলে জানালেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ। মুকেশ অম্বানীর পরিবার যেখানে ট্রাস্টকে ২ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা দান করেছেন, সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য গুজরাটের এই আধ্যাত্মিক  নেতা ১৮.৬ কোটি টাকা দান করেছেন। তবে, ওই অর্থ সম্পূর্ণটা তাঁর নিজের নয়। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ওই অর্থ সংগ্রহ করেছেন তিনি। ২০২০ সালের আগস্টে , গুজরাটের পিথোরিয়ায় এক অনলাইন রামকথা পাঠের সময়, রাম মন্দির নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহহের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন মোরারি বাপু। তাঁর সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে, ভারত থেকে ১১.৩০ কোটি টাকা, ব্রিটেন এবং ইউরোপ থেকে ৩.২১ কোটি টাকা এবং আমেরিকা, কানাডা এবং অন্যান্য বিভিন্ন দেশ থেকে ৪.১০ কোটি টাকা দেন তাঁর রামকথার গুণমুগ্ধ  শ্রোতারা। সেই অর্থই তিনি ট্রাস্টের হাতে তুলে দিয়েছেন।

মোরারি বাপু এক বিবৃতিতে জানান, তহবিল সংগ্রহের ১৫ দিনের মধ্যে রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের কাছে তাঁরা ১১.৩ কোটি টাকা হস্তান্তর করেছিলেন। বাকি অর্থ বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা হয়। সেই তহবিলের জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়া যায়  ২০২৪-এ । এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি যখন রাম কথা পাঠ করবেন, সেই সময় রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের হাতে বাকি অর্থ তুলে দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে মোট অনুদানের পরিমাণ ১৮.৬ কোটি টাকা।

৬৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে রামের মাহাত্ম্য প্রচার করে আসছেন এই একনিষ্ঠ রামভক্ত। রাম কথা বর্ণনা, রাম নাম জপ করেই দিন কাটিয়ে এসেছেন। অযোধ্যার  শান্তিপূর্ণ সমাধান তাঁর কাম্য ছিল। অবশেষে রাম মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে। মোরারি বাপুর স্বপ্ন বাস্তব রূপ নেওয়ায়  হৃদয় আনন্দে পরিপূর্ন তাঁর । তাঁর ভাষায় “আমি আনন্দে ভরে উঠেছি।”