অযোধ্যা, ২৪ জানুয়ারি – সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেন রাম মন্দির, আর তার পরের দিন, মঙ্গলবার পাঁচ লক্ষের বেশি দর্শনার্থী রামমন্দিরে । সেই ভিড় সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরের আগেই দর্শনার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলায় পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবারে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দির। সন্ধ্যা ৭টার পরিবর্তে রাত ৯টা পর্যন্ত রামলালার দর্শন চলে। বুধবার থেকে ফের নতুন নিয়ম। সকাল ৬টা থেকেই শুরু হয়েছে দর্শন। চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। মাঝে সাড়ে ১১টায় ভোগ আরতি এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সন্ধ্যারতির সময়ে কিছুক্ষণের জন্য দর্শন বন্ধ রাখা হলেও মন্দিরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে না।
শুধু মন্দির দর্শনের সময়সীমা বৃদ্ধিই নয়, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অযোধ্যায় এসে বৈঠক করার পর আরও বেশি পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মন্দির চত্বরেই রয়েছেন এক হাজার জওয়ান। উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখ্যসচিব সঞ্জয় প্রসাদ নিজে অযোধ্যায় রয়েছেন। রয়েছেন ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্র নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেপুটি কমান্ড্যান্ট অরুণকুমার তিওয়ারি।
রামমন্দিরে যাওয়ার জন্য তৈরি ‘ভক্তিপথ’-এর শুরুতে যে মূল ফটক, তার অনেক আগে থেকেই পুলিশ ‘চ্যানেল’ তৈরি করেছে। নির্দিষ্ট লাইন দিয়েই দর্শনার্থীদের ভিতরে ঢুকতে হচ্ছে। মন্দিরে যাতে কেউ কোনও সামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করতে না পারেন, তার জন্য অতিরিক্ত নজরদারি চলছে। একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রবীণ ও শারীরিক ভাবে অক্ষমদের এখন আর অযোধ্যায় আসতে দেওয়া যাবে না। সেই মর্মেও ঘোষণা চলছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী দু’সপ্তাহ এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।