• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

দেশে অনাদায়ী ঋণের বোঝা অর্থনীতিকে পঙ্গু করছে : উর্জিত প্যাটেল

সম্প্রতি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সময়ােচিত পদক্ষেপ গ্রহণে দ্বিধাগ্রস্তুত দেশের আর্থিক ব্যবস্থার ক্ষতি করছে।

উর্জিত প্যাটেল (File Photo: IANS)

ঋণপ্রদানকারী আর্থিক সংস্থাগুলির পরিচালন ব্যয় এবং দীর্ঘসুত্রিত বেসরকারি সংস্থাগুলির থেকে এতটাই বেশি যে তার তুলনাও বাতুলতা বলে মন্তব্য করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর উর্জিত প্যাটেল ।

সম্প্রতি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সময়ােচিত পদক্ষেপ গ্রহণে দ্বিধাগ্রস্তুত দেশের আর্থিক ব্যবস্থার ক্ষতি করছে। তিনি বলেন, ২০১৪ পর্যন্ত সময়ে যে বিপুল পরিমাণ অনাদায়ী ঋণের বােঝা ব্যাঙ্কগুলি বহন করছিল সেগুলিকে আড়াল করাই ছিল তাদের প্রধান কাজ।

এজন্য একদিকে সরকারি তরফে উদাসীনতা এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলির সময়ােচিত পদক্ষেপ না গ্রহণ করাকেই দায়ী করেছেন প্রাক্তন গভর্নর।

দীর্ঘ পাঁচ বছর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর ও গভর্নর হিসেবে কাজ করার সুবাদে উর্জিত প্যাটেল ভারতের বিপুল পরিমাণ অনাদায়ী ঋণের বােঝার ফলে দেশের আর্থিক ব্যবস্থা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে রঘুরাম রাজন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর অনাদয়ী ঋণ পরিমাণ আদায়ের নির্দেশ জারি করেন। এসময় থেকেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার সম্পদ পর্যালােচনার কাজ শুরু করে।

এরফলে দেউলিয়া আইন বলবতের পরবর্তী দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় যে বিপুল পরিমাণ অনাদায়ী ঋণের বােঝা লুকোনাে রয়েছে তা প্রকাশ হতে থাকে। এই সময়ের পর থেকেই আর্থিক ব্যবস্থায় নগদ অর্থের যােগান দেওয়া ব্যাঙ্কের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হৃয়ে পড়ে এবং উন্নয়নও হোঁচট খেতে থাকে।

দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, চটজলদি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তার সমাধান করা সম্ভব নয়। এর ফলে একদিকে মূলধনের ব্যবহারে বিলম্ব এবং ভবিষ্যতে বিনিয়ােগের। ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হবে।

এদিকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে জারি করা বিতর্কিত সার্কুলার সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হিসেবে তাঁর দায়িত্ব নিয়ে এক সমস্যার সৃষ্টি করে।

তিনি বলেন, এব্যাপারে সময়ই বলবে দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্কের দায়িত্ব পালন নিয়ে ‘প্রকৃত বা কাজের নামে অকাজ’ কোনটি সঠিক ছিল।