• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ইজরায়েলি সেনার দখলে খান ইউনিসের দু’টি হাসপাতাল, সংঘর্ষে মৃত ৫০

গাজা, ২৩ জানুয়ারি– ইজরায়েলি সেনার ভয়ে গাজার উত্তর প্রান্ত থেকে ভয়ে যে সব মানুষ দক্ষিণ গাজায় আশ্রয় নিয়েছিল, এ বার সেই অংশও দখল নিতে শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা৷ ফলে এখান থেকেও সব ছেডে় জীবন হাতে নিয়ে পালাতে হচ্ছে তাদের৷ সপ্তাহখানেক আগেই দক্ষিণ গাজায় ঢুকে পডে়ছিল ইজরায়েল বাহিনী৷ তখন থেকেই হামাসের সঙ্গে জোর লড়াই চলছে তাদের৷

গাজা, ২৩ জানুয়ারি– ইজরায়েলি সেনার ভয়ে গাজার উত্তর প্রান্ত থেকে ভয়ে যে সব মানুষ দক্ষিণ গাজায় আশ্রয় নিয়েছিল, এ বার সেই অংশও দখল নিতে শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা৷ ফলে এখান থেকেও সব ছেডে় জীবন হাতে নিয়ে পালাতে হচ্ছে তাদের৷ সপ্তাহখানেক আগেই দক্ষিণ গাজায় ঢুকে পডে়ছিল ইজরায়েল বাহিনী৷ তখন থেকেই হামাসের সঙ্গে জোর লড়াই চলছে তাদের৷
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসকে পুরোপুরি দখলে নেওয়ার জন্য সংঘর্ষ চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা৷ ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)-এর দাবি, এই খান ইউনিস থেকেই গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালানো হয়েছিল৷ তাই খান ইউনিসকে হামাসমুক্ত করতেই সামরিক অভিযান আরও জোরদার করেছে তারা৷ সোমবার থেকে হামলা জোরলো হয়েছে৷ আকাশপথে হামলার পাশাপাশি, সেনাও তাদের আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাডি়য়েছে৷ সোমবারই খান ইউনিসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল আল-খায়ের দখল করেছে আইডিএফ৷
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগর সংলগ্ন আল-মাওয়াসি জেলায় রাতভর সংঘর্ষ হয়েছে হামাস এবং ইজ়রায়েলি বাহিনীর সঙ্গে৷ সেই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ শুধু তা-ই নয়, গোটা হাসপাতালটিকে অবরুদ্ধ করে সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ইজ়রায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে৷ প্যালেস্টাইনি রেড ক্রেসেন্ট-এর দাবি, শুধু আল-খায়েরিই নয়, খান ইউনিসের আরও একটি হাসপাতাল আল-আমালও নিজেদের দখলে নিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা৷ ওই হাসপাতালটির সঙ্গে সমস্ত রকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে৷ হাসপাতালের কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছেও বলেও দাবি প্যালেস্টাইনি রেড ক্রেসেন্ট-এর৷ যদিও তা অস্বীকার করেছে ইজ়রায়েল৷
খান ইউনিস শহর ইজ়রায়েলের দখলে চলে যাওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষ ওই শহর ছেডে় গাজ়ার আরও দক্ষিণে আশ্রয় নিচ্ছেন৷ এই পরিস্থিতিতে বার্তা দিয়েছে আমেরিকা, এই লড়াইয়ে নিরীহ এবং সাধারণ মানুষের যেন মৃতু্য না হয়, সে দিকটাও নজর রাখতে হবে ইজ়রায়েলকে৷ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দিকটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই ইজ়রায়েলকে বার্তা দিয়েছে হোয়াইট হাউস৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের এক তথ্য বলছে, গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই লড়াইয়ে গাজ়ার ২৩ লক্ষ বাসিন্দার মধ্যে ৮৫ শতাংশই গৃহহীন হয়ে পডে়ছেন৷ চার জনের মধ্যে এক জন অভুক্ত অবস্থায় থাকছেন৷
কিন্ত্ত ইজ়রায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ১০০ পণবন্দি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এবং পুরো হামাস বাহিনীকে খতম না করা পর্যন্ত এই লড়াই জারি থাকবে৷ ফলে এখনই যে লড়াই থামাবেন না নেতানিয়াহু, তাঁর কথা থেকেই তা স্পষ্ট৷