• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

‘অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় মহুয়া মৈত্রর প্রাক্তন বন্ধু দেহদ্রাইকে তলব করল সিবিআই

দিল্লি, ২৩ জানুয়ারি –  ‘অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জয় অনন্ত দেহদ্রাইকে তলব করল সিবিআই। মঙ্গলবার সরকারি সূত্রে এই খবর মেলে। আগামী বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি  দুপুর ২ টোয় তাঁকে লোদী রোডের সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা ‘অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দেহদ্রাইয়ের

দিল্লি, ২৩ জানুয়ারি –  ‘অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জয় অনন্ত দেহদ্রাইকে তলব করল সিবিআই। মঙ্গলবার সরকারি সূত্রে এই খবর মেলে। আগামী বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি  দুপুর ২ টোয় তাঁকে লোদী রোডের সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা ‘অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দেহদ্রাইয়ের বয়ান রেকর্ড করবে  সিবিআই। দেহদ্রাইকে পাঠানো চিঠিতে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ নিয়ে তাঁকে সিবিআইয়ের সামনে হাজির হতে হবে। গত বছর জয় অনন্ত দেহদ্রাই মহুয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন।
গত বছর অক্টোবর মাসে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মহুয়ার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন।  তিনি লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে দুই পাতার একটি চিঠিও দেন।  চিঠিতে তিনি জানান, সাংসদ থাকাকালীন মহুয়া মৈত্র লোকসভা কক্ষে শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন করেছেন। আর এই প্রশ্নগুলোর জন্য তিনি শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন। চিঠিতে দুবে আরও উল্লেখ করেন যে, মহুয়ার এই দুর্নীতি নিয়ে তাঁকে আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দেহদ্রাই এ নিয়ে তাঁকে বিস্তারিত জানিয়েছেন।  এদিকে জয় অনন্ত দেহদ্রাই একসময় মহুয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। পরে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরী হয়। আবার শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানিও হলফনামায় মহুয়াকে উপহার ও অর্থ দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন। যদিও গোটা বিষয়টিই মনগড়া বলে উড়িয়ে দেন  মহুয়া। দুবে এবং দেহদ্রাইকে আইনি নোটিসও পাঠান তিনি।

দুবে জানান, মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় লোকপাল। তার আগে থেকেই মহুয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলছিলেন দুবে- দেহদ্রাইরা। প্রসঙ্গত, ‘লোকাযুক্ত এবং লোকপাল আইন, ২০১৩’ অনুসারেই চিঠি দেওয়া হয়েছে দেহদ্রাইকে।

অভিযোগ খতিয়ে দেখতে লোকসভায় এথিক্স কমিটি তৈরী হয়।  সেই কমিটি মহুয়া মৈত্রকে তলব করে। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর লোকসভার এথিক্স কমিটি তৃণমূল সাংসদকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। এথিক্স কমিটি মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করার পরামর্শ দেয়। সেইমতো গত ৮ ডিসেম্বর লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশনে  মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করা হয় ।