• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

২২ জানুয়ারি নতুন কালচক্রের সূচনা হল: প্রধানমন্ত্রী

অযোধ্যা, ২২ জানুয়ারি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে আজ, সোমবার ঐতিহাসিক রামমন্দিরের উদ্বোধন করে নজির গড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে সকাল ৯টার আগেই শুরু হয় প্রাণ প্রতিষ্ঠার বিশেষ কার্যক্রম। এরপর যথাসময়ে মন্দিরে এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি মন্দির উদ্বোধন ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। শাস্ত্রবিধি পালন করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য

অযোধ্যা, ২২ জানুয়ারি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে আজ, সোমবার ঐতিহাসিক রামমন্দিরের উদ্বোধন করে নজির গড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে সকাল ৯টার আগেই শুরু হয় প্রাণ প্রতিষ্ঠার বিশেষ কার্যক্রম। এরপর যথাসময়ে মন্দিরে এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি মন্দির উদ্বোধন ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। শাস্ত্রবিধি পালন করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষ পুরোহিত ও শাস্ত্রজ্ঞরা। তাঁদের উপস্থিতিতে দুপুর ১২টার পর প্রধানমন্ত্রী প্রাণ প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম শুরু করেন। তাঁর পাশে ছিলেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজপাল আনন্দীবেন প্যাটেল।

আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন দেশের সেরা তারকা অভিনেতা, ক্রীড়াবিদ ও শিল্পপতিরা। ঐতিহাসিক প্রাণ প্রতিষ্টা অনুষ্ঠানে দেশের সকল প্রধান আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। হিন্দু ধর্মের অন্যতম শ্রদ্ধেয় দেবতা, ভগবান রামের জন্মস্থান বলে বিশ্বাস করা অযোধ্যার বিশাল মন্দিরে অনুষ্ঠানের জন্য ৮০০০-এরও বেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। যদিও হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় কর্তৃত্ব বলে বিবেচিত শঙ্করাচার্যরা এটিকে “ধর্মশাস্ত্র-বিরোধী” বলে আখ্যায়িত করে অনুষ্ঠানটি এড়িয়ে যান। সময়মতো মন্দিরে পৌঁছে যান ক্রিকেটার সচিন টেন্ডুলকর, বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন ও পুত্র অভিষেক বচ্চন, রজনীকান্ত, জ্যাকিশ্রফ, সঙ্গীত শিল্পী সোনু নিগম সহ বিশিষ্টরা। এছাড়া আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ, ভিকি কৌশল, আলিয়া ভাট, রণবীর কাপুর সহ প্রথম সারির তারকারাও।

এদিন গর্ভগৃহে প্রবেশ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী রামলালার মূর্তিকে প্রদক্ষিণ করে প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন। প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় বৈদিক আচার মেনে মূর্তিকে শোধন করা হয়। এরপর বস্ত্রের অবগুন্ঠন খুলে প্রথমবার চক্ষু উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে মন্দির প্রাঙ্গণে আকাশ থেকে পুষ্প বৃষ্টি করা হয়। আজ সকালে হনুমানগড়িতে পুজো দেন অভিনেতা অনুপম খের। অনুষ্ঠানের সময় ভক্ত ও বিশেষ অতিথিদের দ্বারা “জয় শ্রী রাম” স্লোগানে মন্দির প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে যায়। তবে এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি লালকৃষ্ণ আদবানি। তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি বলে দাবি করা হয়েছে।

প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর মন্দির চত্বরে ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত ও প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী ভাষণের শুরুতে বলেন, “নতুন ইতিহাসের সূচনা করল দেশ। বহু শতাব্দীর অপেক্ষার পর রাম আমাদের কাছে এলেন। রাম আর তাঁবুতে নয়, মন্দিরে থাকবেন। আজ ২২ জানুয়ারি নতুন কালচক্রের সূচনা হল। আমাদের ত্যাগ, তপস্যার খামতি ছিল। বহু শতাব্দী সময় লেগে গেছে। ভগবান রাম নিশ্চয় আমাদের ক্ষমা করবেন। এই রামমন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে বহু আইনি লড়াই চলেছে। ন্যায় বিচারের জন্য বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। শ্রীরামের আদর্শ, মূল্য, শিক্ষা সর্বত্র সমান। আজ বিজয়ের নয়, বিনয়ের দিন। রামমন্দির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতীক। গর্ভগৃহে ঐশ্বরিক চেতনার সাক্ষী হলাম। “