দেরাদুন, ২১ জানুয়ারি: অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের ঠিক আগের দিন উল্টো সুর গাইলেন উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষ পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। মোদির প্রশংসায় তিনি এখন পঞ্চমুখ। যিনি কয়েকদিন আগেই অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ‘প্রাণ প্রতিস্থা’ অনুষ্ঠান নিয়ে “শাস্ত্র-বিরোধী” বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হিন্দুদের মধ্যে আত্ম-গরিমা জাগ্রত করার জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর শেয়ার করা একটি ভিডিও বার্তায় শঙ্করাচার্য বলেছেন, তিনি মোটেই মোদি বিরোধী নন। বরং প্রকৃতপক্ষে তিনি হিন্দুদের পক্ষে দৃঢ় থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর একজন ভক্ত।
শঙ্করাচার্য বলেন, “সত্য হল, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হিন্দুদের মধ্যে আত্মাভিমান জেগে উঠেছে। এটা কোনও ছোট বিষয় নয়। আমরা একাধিকবার প্রকাশ্যে বলেছি, আমরা মোদি বিরোধী নই। বরং মোদির ভক্ত। আমরা তাঁকে প্রশংসা করি। কারণ স্বাধীন ভারতে আর কোনও প্রধানমন্ত্রী এত সাহসী, হিন্দুদের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছেন এমন কেউ নেই।…আমরা কারও সমালোচনা করছি না। তবে তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি হিন্দু আবেগকে সমর্থন করেন।”
শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ আরও বলেন, তাঁরা (চারজন শঙ্করাচার্য) প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে নন। বরং ৩৭০ ধারা, সিএএ এবং স্বচ্ছতা অভিযান সহ তাঁর সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। যখন ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছিল, আমরা কি এটাকে স্বাগত জানাইনি? যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এল, আমরা কি তার প্রশংসা করিনি? আমরা কি প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্বচ্ছতা অভিযানে বাধা দিয়েছি? আমরাও প্রশংসা করেছি যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে যে জমিতে রাম মন্দির তৈরি করা হবে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি।
উল্লেখ্য, তিনি হিন্দু ধর্মের সর্বোচ্চ কর্তৃত্বকারী চার শঙ্করাচার্যের একজন। এর আগে অযোধ্যায় ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানে যেতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, মন্দিরটি সম্পূর্ণরূপে নির্মিত হয়নি। অসম্পূর্ণ মন্দিরের “প্রাণ প্রতিষ্ঠা” হিন্দু শাস্ত্রের পরিপন্থী।