অযোধ্যা, ১৮ জানুয়ারি – আগামী ২২ জানুয়ারি বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন। সেদিনই মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে আমজনতার জন্য। রাম মন্দির নির্মাণের পিছনে রয়েছে দীর্ঘ আন্দোলন। এই আন্দোলনের অন্যতম শরিক ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যদিও অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে থেমে থাকতে রাজি নন তিনি। এবার তাঁর লক্ষ্য কাশী এবং মথুরা। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। রামমন্দির নির্মাণ থেকে শুরু করে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। আলোচনায় উঠে আসে কাশী-মথুরা প্রসঙ্গ । যোগী জানিয়েছেন, রামমন্দির নির্মাণ ছিল তাঁদের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ। রাম জন্মভূমি স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে মন্দির। প্রায় ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে লড়াইয়ের পর স্বপ্নপূরণ হয়েছে। তাঁর পরবর্তী টার্গেট কাশী এবং মথুরা।
যে জায়গা নিয়ে এতদিন হিন্দুপক্ষের দাবি ছিল, সেখানে রামমন্দির হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী শিবির। এ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন মহারাষ্ট্রের উদ্ধব সেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। এ নিয়েও মুখ খুলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। শিবেসনার সাংসদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি তাঁর । যে জায়গায় মসজিদের গম্বুজ ছিল, সেই জায়গায় রামলালা প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বলে দাবি যোগীর । মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে নিশানা করতে ছাড়েননি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ধব সেনা সাংসদ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যখন অযোধ্যায় এসেছিলেন, তখন এ কথা কেন বলেননি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ।
চলতি বছরে লোকসভা নির্বাচন। হিন্দু ভোটের দিকে তাকিয়ে তাড়াহুড়ো করে রাম মন্দিরের উদ্বোধন করা হচ্ছে বলে বিরোধীদের পক্ষ থেকে করা হয়েছে অভিযোগ। এ ব্যাপারে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। ১৯৮৯ সালে কংগ্রেস অযোধ্যা থেকেই লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছিল বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন। আসলে হিন্দুদের বোকা বানাতে কংগ্রেস ও বিরোধী দলগুলি পরিকল্পনা করেছে বলে তাঁর অভিযোগ।