• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

আত্মসমর্পণের জন্য আরও সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিলকিস বানো মামলার ৩ দোষীর 

 দিল্লি, ১৮ জানুয়ারি – বিলকিস বানো মামলায় আত্মসমর্পণের জন্য আরও সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনের মধ্যে তিন জন। বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তিন জনের আর্জি,  তাঁদের জেলে ফিরতে আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক। বৃহস্পতিবার মামলাটি নথিবদ্ধ হওয়ার পর শুক্রবার বিষয়টি শুনতে রাজি হয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

 দিল্লি, ১৮ জানুয়ারি – বিলকিস বানো মামলায় আত্মসমর্পণের জন্য আরও সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনের মধ্যে তিন জন। বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তিন জনের আর্জি,  তাঁদের জেলে ফিরতে আরও কিছুটা সময় দেওয়া হোক। বৃহস্পতিবার মামলাটি নথিবদ্ধ হওয়ার পর শুক্রবার বিষয়টি শুনতে রাজি হয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
গত ৮ জানুয়ারি গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্ত  খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ওই মামলায় ১১ জন ধর্ষককে মুক্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাট সরকার, তা এক্তিয়ার-বহির্ভূত। বিচারপতি বিভি নাগারত্না এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার পর্যবেক্ষণ ছিল, জালিয়াতি করে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কারণ ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ারই ছিল না গুজরাট সরকারের। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় যে, খুন এবং ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনকেই দু’সপ্তাহের মধ্যে জেলে ফিরে যেতে হবে। রবিবার সেই নির্ধারিত সময়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। 

শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পরে তিন অভিযুক্ত গোবিন্দভাই নাই, রমেশ রূপাভাই চন্দনা এবং মিতেশ চিমনলাল ভাট আত্মসমর্পণের সময় বাড়ানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল। আবেদন শুনতে বৃহস্পতিবার রাজি হল শীর্ষ আদালত। এ ব্যাপারে শুক্রবার অর্থাৎ ১৯ জানুয়ারি শুনানির সম্ভাবনা। 

গোবিন্দভাই নাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আর্জি জানান যে, তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক। যুক্তি হিসাবে তিনি  নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানান । জানান  তাঁর একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে, আরও একটি হওয়ার কথা। তা ছাড়া গোবিন্দভাই দাবি করেন যে, তাঁর বাবা শয্যাশায়ী হওয়ায় বাড়ির সব কাজ করতে হয় তাঁকে। রমেশ রূপাভাই চন্দনা জেলে ফেরত যাওয়ার জন্য আরও ছ’সপ্তাহ সময় চান। এ ক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি, ছেলের বিয়ে। বিয়ের কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি এখনই আত্মসমর্পণ করতে পারছেন না । রমেশের মতোই আর এক দোষী মিতেশ চিমনলাল আত্মসমর্পণ করার সময়সীমা ছ’সপ্তাহের জন্য বাড়িয়ে দেওয়ার আর্জি জানান। তাঁর আবার যুক্তি, শীতের ফসল কাটার কাজে ব্যস্ত তিনি।  সেই কাজ মিটলে জেলে ফেরত যেতে চান ।