• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অবিলম্বে সরকারি বাংলো ছাড়ার নির্দেশ মহুয়া মৈত্রকে 

দিল্লি, ১৭ জানুয়ারি –  ফের দিল্লির সরকারি বাংলো খালি করার নোটিস দেওয়া হল মহুয়া মৈত্রকে। এই নিয়ে তৃতীয়বার তাঁকে নোটিস পাঠালো  ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট। ‘অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে গত ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায় । তাঁকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো খালি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট ভাড়া দিয়ে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত বাংলোটি ব্যবহারের

দিল্লি, ১৭ জানুয়ারি –  ফের দিল্লির সরকারি বাংলো খালি করার নোটিস দেওয়া হল মহুয়া মৈত্রকে। এই নিয়ে তৃতীয়বার তাঁকে নোটিস পাঠালো  ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট। ‘অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে গত ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায় । তাঁকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো খালি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট ভাড়া দিয়ে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত বাংলোটি ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিলেন মহুয়া।  আবারও প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদকে অবিলম্বে সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিস দেওয়া হল। মঙ্গলবারই তাঁকে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য, সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর মহুয়াকে প্রথমবার ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সময় মহুয়া দিল্লির বাংলোতে লোকসভা ভোট পর্যন্ত তাঁকে থাকতে দেওয়ার আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু, আদালত গোটা বিষয়টি ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের উপর ছেড়ে দেয়। এরপরই ৮ জানুয়ারি মহুয়ার নামে একটি নোটিশ জারি করা হয়। তিনদিনের মধ্যে তাঁকে বাংলো না ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। জানা গিয়েছে,  গত ১২ জানুয়ারিও  লোকসভা কমিটির তরফে আবার নোটিস পাঠানো হয় মহুয়াকে।বহিষ্কারের পরও কেন তাঁকে সরকারি বাংলোতে থাকতে দেওয়া হবে, এর উত্তর চাওয়া হয় মহুয়া মৈত্রর কাছে। সূত্রের খবর, তৃণমূলর নেত্রীর দেওয়া জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট। 

সাংসদ থাকাকালীন মহুয়া মৈত্রকে দিল্লির এই বাংলোটিতে থাকার অধিকার দেওয়া হয়। বর্তমানে দিল্লিতে ৯বি, টেলিগ্রাফ লেনের বাংলোতে থাকেন মহুয়া । এই বাংলোতে থাকার জন্য মহুয়া বেশ কিছু সরকারি সুযোগ-সুবিধাও পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে টেলিফোন সংযোগ , ফোনকল, ৫০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ এবং ৪ হাজার কিলোলিটার জলের পরিষেবা। বাংলো ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পরিষেবাগুলিও আর পাবেন না।

ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট বাংলো ছাড়ার নোটিস দেওয়ার পর মহুয়া তার বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। যদিও ওই মামলায় কোনও রায় দেয়নি  উচ্চ আদালত। এই বিষয় নিয়ে মহুয়াকে ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের কাছে আবেদন করতে বলে। একই সঙ্গে মামলাটিকে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেয় উচ্চ আদালত। তার পরও  কেন বাংলো খালি হয়নি, জানতে চেয়ে মহুয়াকে নোটিস পাঠায় ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট। আবার তাঁকে বাংলো ছাড়ার নোটিস পাঠানো হল ।