• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

“ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা”র সূচনাপর্বে মোদির বিরুদ্ধে খড়গহস্ত খাড়গে

ইম্ফল, ১৪ জানুয়ারি: আজ মণিপুরের থৌবালে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও দলের সাংসদ রাহুল গান্ধী পতাকা নেড়ে “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা”র সূচনা করেন। যদিও ঘন কুয়াশার জন্য দিল্লি থেকে বিমান দেরিতে চলার কারণে তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে মণিপুরের থৌবালে এসে পৌঁছতে পারেননি। তবুও বিকেলের মধ্যে নির্ধারিত “ন্যায় যাত্রা”র সূচনা করেন। বিভিন্নরকম বাধা বিপত্তির মধ্যেও এদিন

ইম্ফল, ১৪ জানুয়ারি: আজ মণিপুরের থৌবালে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও দলের সাংসদ রাহুল গান্ধী পতাকা নেড়ে “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা”র সূচনা করেন। যদিও ঘন কুয়াশার জন্য দিল্লি থেকে বিমান দেরিতে চলার কারণে তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে মণিপুরের থৌবালে এসে পৌঁছতে পারেননি। তবুও বিকেলের মধ্যে নির্ধারিত “ন্যায় যাত্রা”র সূচনা করেন। বিভিন্নরকম বাধা বিপত্তির মধ্যেও এদিন রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এই “ন্যায় যাত্রা”য় অংশগ্রহণ ও মানুষের উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো। কংগ্রেসের জাতীয় স্তরের শীর্ষ নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেসের নেতারাও অংশগ্রহণ করেন। বহুজন সমাজ পার্টির অপসারিত নেতা ও লোকসভার সাংসদ দানিশ আলিও মণিপুরে “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা”য় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।

প্রসঙ্গত এই পদযাত্রা আজ থেকে ৬৭ দিন ধরে দেশের ১৫ রাজ্যে যাবে। এই রাজ্যগুলির ১১০টি জেলায় ৬৭০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। অর্থাৎ মোটামুটি প্রতিদিন গড়ে ১০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবে।

এদিকে রবিবার “ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা”র সূচনা করে মোদিকে তোপ দাগলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি এদিন দেশে একের পর হিংসার ঘটনায় মোদির ভূমিকা নিয়ে খড়গহস্ত হন। বলেন, “যেসব রাজ্যে হিংসা ছড়িয়েছে, সেখানে কেন মোদী গেলেন না? মণিপুরে গত কয়েক মাস ধরে যে ভয়াবহ হিংসার ঘটনা ঘটে গেল, তিনি সেখানে একবারও গেলেন না। অথচ যেখানে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে ভোট ভিক্ষা করতে ছুটেছেন।”

ফের মণিপুরের প্রসঙ্গ তুলে খাড়গে বলেন,”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখানে মানুষ যখন যন্ত্রণায় থাকে, তখন আসেন না। কিন্তু উনি এখানে ভোট চাইবার সময় হলেই চলে আসেন।”

রাম মন্দিরের উদ্বোধন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি মোদিকে আরও একবার তুলোধোনা করেন। বলেন,”প্রধানমন্ত্রী মোদী ভোট ভিক্ষার জন্য রামের নাম জপ করেন। বিজেপি ধর্মের মধ্যে রাজনীতি মেশাচ্ছে। এবং মানুষকে ধর্মীয় উস্কানি দিচ্ছে। আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমতা ও সামাজিক ন্যায়ের জন্য লড়াই করছি। রাহুল গান্ধী মণিপুরে এসেছেন আপনাদের যন্ত্রণা ভাগ করে নিতে। আপনাদের সমস্যার কথা শুনতে। যখন জওহরলাল নেহেরু প্রথম মণিপুরে এসেছিলেন, তখন মণিপুরকে তিনি ভারতের রত্ন বলে অভিহিত করেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীও একই কথা বলেছিলেন। আর রাহুল গান্ধী সংবিধানকে রক্ষার জন্য আন্দোলন করছেন। দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা এবং ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করতে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ”

আজ এই যাত্রা শুরুর আগে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট বলেন, রাহুল গান্ধী ভ্রাতৃত্ব, ভালবাসা ও শান্তির বার্তা দিতে মণিপুরে এসেছেন। যেখানে দীর্ঘদিন ধরে আপনারা হিংসার স্বীকার হয়ে আসছেন। “ন্যায় যাত্রা” কর্মসূচি মানুষকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।