বেঙ্গালুরু, ১২ জানুয়ারি – চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল কর্ণাটকের একটি সরকারি স্কুলে। স্কুলের হস্টেলে থাকত নবম শ্রেণির ছাত্রী। অষ্টম শ্রেণিতে সে ওই স্কুলে ভর্তি হয়। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর পেটে যন্ত্রনা হওয়ায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে যেতেই জানা যায়, ১৪ বছরের ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল সে। এরপর হাসপাতালেই পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় সে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের তুমাকুরু জেলায় চিক্কাবল্লভপুরের স্কুলে । ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
গত বছর থেকে হস্টেলে থাকতে শুরু করেন ওই কিশোরী। তবে প্রায়শই তিনি বাড়ি চলে যেতেন বলে স্কুল সূত্রে জানা যায় ।ক্লাসেও প্রায়ই সে অনুপস্থিত থাকত। ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়ি কর্নাটকের বাগেপল্লী তালুকে। সম্প্রতি বাড়ি গিয়েছিল সে। তখনই পেটে ব্যথা হয়। তখন তার বাড়ির লোক হাসপাতালে নিয়ে যেতেই সে যে অন্তঃসত্ত্বা তা জানা যায়। গত বছর আগস্ট মাসে হস্টেল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছিল। কিন্তু সে সময় অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানা যায়নি বলে অভিযোগ।
তবে ওই কিশোরীর জন্ম দেওয়া সন্তান সুস্থ রয়েছে। কী করে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হল সে বিষয়টিও জানার চেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রের ঘনিষ্ঠ ছিল ওই ছাত্রী। কিন্তু সেই ছাত্র পাশ করে যাওয়ার পর সেখান থেকে অন্যত্র চলে গেছে । যদিও ওই ছাত্রীর বাবা-মা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে ওই ছাত্রীর বয়ান নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ওই হস্টেলের ওয়ার্ডেনকে সাসপেন্ড করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে ওই স্কুলের হস্টেলে।
কী ভাবে নবম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি কারও নজরে এল না, ওয়ার্ডেনেরও বা গাফিলতি হল কী করে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মেয়েটির পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অত্যধিক ওজন কমে গিয়েছিল ছাত্রীটির। তবে প্রসবের পর মা এবং সন্তান দু’জনেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। ইতিমধ্যেই মেয়েটির কাউন্সিং শুরু হয়েছে। তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। তবে দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল কি না, হস্টেলে ছেলেটি তার সঙ্গে দেখা করতে আসত কি না, তা নিয়ে মুখ খোলেনি মেয়েটি।