পাটনা, ১২ জানুয়ারি – তীব্র ঠান্ডায় বিহারে প্রাণ গেল এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলায়। ভয়ঙ্কর ঠান্ডাতেও ওই শিশুর গায়ে কোন শীতের পোশাক ছিল না। আদর্শ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যখন প্রার্থনা সঙ্গীত চলছিল, তখন জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পরে শিশুটি। মৃত্যু হয় ১০ বছরের ওই স্কুল পড়ুয়ার।
মণীশের মৃত্যুর জন্য হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন। মৃত পড়ুয়ার দাদা চন্দন জানিয়েছেন, ঘটনার দিন নির্দিষ্ট সময়ে স্কুল গিয়েছিল তাঁর ভাই। কিছুক্ষণ পরে স্কুল থেকে খবর আসে যে অসুস্থ মণীশকে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পর, ভাইকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। পরে শোনা যায় সে বেঁচে নেই। এরপরেই পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
এদিকে, হাসপাতালে হামলার ঘটনা শুনে ছুতে যায় স্থানীয় চকিয়া থানার পুলিশের একটি দল। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঠান্ডা, না অন্য কোন কারণে পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তা ধনঞ্জয় কুমার।
স্কুলের মধ্যে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় বিহার জুড়ে পড়ে গেছে শোরগোল। জানা গিয়েছে, মণীশের বাবা স্থানীয় একটি চিনিকলের শ্রমিক। পরিবারের সদস্য বেশি থাকায়, নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা। দারিদ্রের কারণে পড়ুয়ার গায়ে গরম জামাকাপড় ছিল না বলে অভিযোগ।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক সঞ্জয় কুমার। তিনি জনিয়েছেন, স্কুলে যাওয়ার আগে পরিবারের সদস্যরা মণীশকে মারধর করেন।সেই রাগে গরম জামাকাপড় না পরে এবং খাওয়া দাওয়া না করে স্কুলে চলে যায় সে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই মৃত্যু আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করছেন ওই শিক্ষা আধিকারিক।