• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

গবেষণার জন্য যোগীর রাজ্যকে বেছে নিলেন নোবেলজয়ী বাঙালি অভিজিৎ 

কলকাতা, ১০ জানুয়ারি –  কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কীভাবে প্রান্তিক মানুষের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়ে গবেষণা করছেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।  তাঁর সেই গবেষণা বাস্তবে কার্যকরী করতে, এবং  তা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা ও গবেষণা করতে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বেছে নিলেন যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশকে।  নোবেল পাওয়ার পর শ্রীবৃদ্ধি হয়েছিল তিলোত্তমা কলকাতার। কারণ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়  কলকাতারই ছেলে। নোবেলজয়ী

কলকাতা, ১০ জানুয়ারি –  কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কীভাবে প্রান্তিক মানুষের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়ে গবেষণা করছেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।  তাঁর সেই গবেষণা বাস্তবে কার্যকরী করতে, এবং  তা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা ও গবেষণা করতে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বেছে নিলেন যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশকে। 

নোবেল পাওয়ার পর শ্রীবৃদ্ধি হয়েছিল তিলোত্তমা কলকাতার। কারণ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়  কলকাতারই ছেলে। নোবেলজয়ী এই বাঙালি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোভিড ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট কমিটির সদস্য হলেও তাঁর গবেষণা নিয়ে বৃহত্তর কাজের জন্য যোগী আদিত্যনাথের দ্বারস্থ হলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে অভিজিৎ বিনায়ক এবং যোগী আদিত্যনাথের কুশল বিনিময়ের ছবি।যদিও গবেষণা নিয়ে এখনই মুখ খুলতে চাননি নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ। তিনি এক সংবাদ মাধ্যমে জানান,  ‘উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথাও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজে এখন ব্যস্ত রয়েছি। এখনই গবেষণার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না।’’
 
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার অযোধ্যা সফরে যাওয়ার কথা ছিল যোগী আদিত্যনাথের। কিন্তু, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার কথা শুনে তিনি নিজের পূর্বপরিকল্পিত কর্মসূচি পিছিয়ে দেন। লখনউয়ের ৫ নম্বর কালীদাস মার্গে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ পৌঁছন নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ। গবেষণার বিষয়বস্তু নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয় এবং মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর গবেষণা নিয়ে বিস্তারিত জানান বাঙালি অর্থনীতিবিদ। সূত্রের খবর, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবে রাজি হন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁকে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুল প্রয়োগ করে গ্রামের প্রান্তিক মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার কাজ কী ভাবে হবে, তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন অভিজিৎ। জ্বর, পেট ব্যথা কিংবা যে কোনও ধরণের নিত্য রোগে সহজে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে তাঁর এই  গবেষণা বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রান্তিক মানুষেরা গ্রামে বসেই শহরের ভাল চিকিৎসকদের পরামর্শ পেতে পারবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই গবেষণার জন্য উত্তর প্রদেশই দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ জায়গা বলে উল্লেখ করেছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, অভিজিতের হাতে যোগী তুলে দেন ‘এক জেলা, এক পণ্য’ প্রকল্পে তৈরি হওয়া ফিরোজাবাদে তৈরি বংশীধারী কৃষ্ণমূর্তি।
 
প্রসঙ্গত, অভিজিৎ তাঁর এই গবেষণার কাজ কিছুটা পশ্চিমবঙ্গেও করেন বলে জানা যায়। কিন্তু এখন গবেষণা যে পর্যায়ে তাতে উত্তরপ্রদেশই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভাল  জায়গা বলে মনে করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। উত্তরপ্রদেশের জনবিন্যাসের কারণেই এই রাজ্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে উপযুক্ত বলেই তিনি মনে করেন বলে জানা যায় ।