দিল্লি, ৯ জানুয়ারি – ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নানা টানাপোড়েন ও দ্বন্দ্বের সম্মুখীন। তারই মধ্যে চিন সফরে গিয়েছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু। বেজিংয়ে পৌঁছে চিনের ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। সেই সময়ে চিনপন্থী প্রেসিডেন্টকে সরানোর দাবি উঠল খোদ দ্বীপরাষ্ট্রে। কারণ দীর্ঘদিনের বন্ধু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা মেনে নিতে পারছেন না সে দেশের রাজনৈতিক মহলের বড় অংশ। এই পরিস্থিতিতে মলদ্বীপের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, চিন সফরের পরই মোদির সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাবেন মুইজু।
সাম্প্রতিক টানাপোড়েনে মুইজুকে সরানোর দাবি তুলেছেন মলদ্বীপের অন্যতম নেতা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিধায়ক মহম্মদ আলি। মিখাইল নাসিম নামে আরও এক বিধায়ক বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বিদেশমন্ত্রী মুসা জামিরের বিরুদ্ধে সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন। আজিমের দাবি, চিনপন্থী মুইজুকে দ্রুত সরাতে যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে। মলদ্বীপের বৃহত্তম বিরোধী দল এমডিপিকে মুইজুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার জন্য অনুরোধ করেছেন।
একাধিক বিরোধী দলনেতাও ভারত-মলদ্বীপ দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেছেন। প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমদে দিদি মুইজুর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ভারত হল মলদ্বীপের ৯১১ নম্বর, অর্থাৎ আপৎকালীন । আমাদের কাছে ভারত সবার আগে। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এমডিপি নেতা আহমেদ মাহলুফের বক্তব্য, ভারতীয় পর্যটকদের মলদ্বীপ বয়কটে বড়সড় আর্থিক প্রভাব পড়বে।
এই পরিস্থিতিতে চিন সফরের পর প্রেসিডেন্ট মুইজুর দিল্লি সফরের কথা জানিয়েছে মলদ্বীপ সরকার। দ্বীপরাষ্ট্রের এক সরকারি আধিকারিক দাবি করেছেন, একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে মুইজুর। চিন থেকে ফিরেই ফের ভারতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মুইজু।