• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

চিল্কা হ্রদে পথ হারিয়ে ২ ঘন্টা আটকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী 

ভুবনেশ্বর, ৮ জানুয়ারি –  চিল্কা হ্রদে নৌকাবিহারের সময় আচমকাই বিপত্তি। আটকে গেল কেন্দ্রীয় মৎস্য ও পশুপালনমন্ত্রী পরষোত্তম রূপালার নৌকা। এরপর  হ্রদের মাঝখানে টানা ২ ঘণ্টা জলেই আটকে থাকতে হয় মন্ত্রী এবং তাঁর সঙ্গীদের। পরে অন্য নৌকা পাঠিয়ে উদ্ধার করা হয়। হ্রদে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও। আটকে থাকার কারণে  পরের অনুষ্ঠানগুলোতেও আর অংশ নিতে পারলেন

ভুবনেশ্বর, ৮ জানুয়ারি –  চিল্কা হ্রদে নৌকাবিহারের সময় আচমকাই বিপত্তি। আটকে গেল কেন্দ্রীয় মৎস্য ও পশুপালনমন্ত্রী পরষোত্তম রূপালার নৌকা। এরপর  হ্রদের মাঝখানে টানা ২ ঘণ্টা জলেই আটকে থাকতে হয় মন্ত্রী এবং তাঁর সঙ্গীদের। পরে অন্য নৌকা পাঠিয়ে উদ্ধার করা হয়। হ্রদে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও। আটকে থাকার কারণে  পরের অনুষ্ঠানগুলোতেও আর অংশ নিতে পারলেন না মন্ত্রী ও তাঁর সহযোগীদের।  

 কেন্দ্রীয় মৎস্য ও পশুপালনমন্ত্রী পরষোত্তম রূপালা মৎস্যজীবীদের অভাব অভিযোগের কথা শুনতে ওড়িশা সফরে গিয়েছিলেন। এটি তাঁর ‘সাগর পরিক্রমা’ প্রকল্পের ১১তম পর্ব। রবিবার ওড়িশার খুরদা জেলার বরকুল থেকে নৌকায় ওঠেন তিনি। গন্তব্য ছিল পুরী জেলার সাতপাড়া এলাকা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে নৌকায় ছিলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এবং দলের স্থানীয় কয়েক জন নেতা। চিল্কা হ্রদের উপর দিয়ে সাতপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা।

হ্রদের মাঝখানে হঠাৎই তাঁদের নৌকা থেমে যায়। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, জলে মাছ ধরে রাখার জাল বিছিয়ে রাখার কারণে মৎস্যমন্ত্রীর নৌকা আটকে গিয়েছে। কিন্তু পরে মন্ত্রী নিজেই সাতপাড়ায় গিয়ে সাংবাদিকদের জানান, তাঁদের নৌকার মাঝি পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাই তাঁরা জলে আটকে পড়েছিলেন।  কিন্তু পরে জানা যায়, অন্ধকার হয়ে যাওয়ার ফলে পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন বোটের চালক। মন্ত্রী জানান, “আসলে বোটের চালক একেবারেই নতুন। আগে সেভাবে এই পথে নৌকা চালাননি। তাই অন্ধকার হয়ে যাওয়ার পরে রাস্তা হারিয়ে ফেললেন তিনি।”

প্রায় দুঘণ্টা আটকে থাকার পরে তড়িঘড়ি সাতপাড়া থেকে নৌকা পাঠানো হয়। সেই নৌকা করেই মন্ত্রী সহ অন্যান্যদের উদ্ধার করা হয়। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সাতপাড়া পৌঁছন রুপালা। সেখানে যা কিছু কর্মসূচিতে তাঁর অংশ নেওয়ার কথা ছিল, সবগুলোই বাতিল করে দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পুরীতে পৌঁছন মন্ত্রী। তবে প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লেকের মধ্যে দুঘণ্টা ধরে আটকে থাকতে হলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে?