• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বেঁচে থাকার সব আশা হারিয়েছেন, জেলে নিজের মৃত্যু হওয়াই কাম্য  হাতজোড় করে আদালতে আর্জি নরেশ গোয়েলের 

মুম্বাই, ৭ জানুয়ারি –  বেঁচে থাকার সমস্ত আশা হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার থেকে জেলে মৃত্যু হওয়াই কামনা করছেন তিনি। হাত জোড় করে  বিশেষ আদালতের কাছে এই আর্জি জানালেন জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েল। কথা বলার সময় চোখে জল চলে আসে ৭৪ বছরের নরেশ গোয়েলের। তবে বিচারক তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন যে তাঁকে অসহায় অবস্থায় রাখা হবে

মুম্বাই, ৭ জানুয়ারি –  বেঁচে থাকার সমস্ত আশা হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার থেকে জেলে মৃত্যু হওয়াই কামনা করছেন তিনি। হাত জোড় করে  বিশেষ আদালতের কাছে এই আর্জি জানালেন জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েল। কথা বলার সময় চোখে জল চলে আসে ৭৪ বছরের নরেশ গোয়েলের। তবে বিচারক তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন যে তাঁকে অসহায় অবস্থায় রাখা হবে না। তাঁর শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন বিচারক। আর্থিক তছরুপের মামলায় সত্তরোর্ধ্ব নরেশকে শনিবার হাজির করানো হয় মুম্বইয়ের একটি বিশেষ আদালতে। সেখানেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

কানাড়া ব্যাঙ্কের ৫৩৮ কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণার মামলায়  ২০২৩-এর ১ সেপ্টেম্বর নরেশকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তিনি মুম্বাইয়ের  আর্থার রোড জেলে আছেন। জেল হেফাজতে থাকার সময়ই জামিনের আর্জি জানিয়ে বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হন নরেশ গোয়েল। সেই মামলার শুনানির সময় চোখে জল চলে আসে জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতার।

 শনিবার তাঁকে যখন আদালতে হাজির করানো হয়, শুনানি শুরু হতেই নরেশ বিচারকের কাছে ব্যক্তিগত কিছু কথা বলার জন্য অনুমতি চান। বিচারক তাতে সম্মতিও দেন।জেট এয়ারওয়েজ়ের প্রতিষ্ঠাতা আদালতে জানান, তাঁর স্ত্রী অনিতার শারীরিক অবস্থা  সঙ্কটজনক। ক্যানসারের ‘অ্যাডভান্সড স্টেজ’-এ রয়েছেন তিনি । স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে তিনি খুবই  উদ্বিগ্ন। তাই সব দিক বিবেচনা করে তাঁকে যেন জামিন দেওয়া হয়। একমাত্র মেয়েও অসুস্থ। এদিন  বিচারক এমজি দেশপাণ্ডের কাছে এই  আর্জি জানান তিনি।  নরেশ জানান যে তাঁর শরীর কাঁপছে। হাঁটুর দিকে দেখিয়ে  নরেশ দাবি করেন যে তাঁর হাঁটুতে প্রবল ব্যথা আছে। পা মুড়তেও পারেন না বলে দাবি করেছেন নরেশ। জেলের কর্মীরা তাঁকে ঠিক মতো সহযোগিতা করছেন না বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

আদালতের রেকর্ড অনুযায়ী, নরেশের শারীরিক কিছু সমস্যা রয়েছে।  হাঁটুর সমস্যার জন্য ঠিক মতো দাঁড়াতে পারেন না। আদালতে নরেশ জানান, তাঁর স্বাস্থ্যও ঠিক নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে জেজে হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে না। তাই এই অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে জেলে ‘মৃত্যু’-র অনুমতি দিক আদালত।