দিল্লি, ৪ জানুয়ারি— এখনও পর্যন্ত তিনবার ইডি তলব করেছে। মাথায় ঝুলছে গ্রেপ্তারির খাড়া। আশঙ্কায় কাঁপছে তাঁর গোটা দল। তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজের অবস্থানে অনড়। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘কোনও দুর্নীতি করিনি। লোকসভার আগে আমার সততায় কালি লাগাতে চাইছে বিজেপি।’ দিল্লি আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় বারবার তলব এড়িয়ে গিয়েছেন কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বুধবারেও হাজিরা দেননি। দিল্লির আপ নেতাদের আশঙ্কা, আপ সুপ্রিমোকে যেকোন সময় গ্রেফতার করতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই মতো বন্দোবস্তও করা হচ্ছে। কেজরিওয়াল গ্রেফতার হতে পারেন এই আশঙ্কায় আপের শীর্ষনেতারা ইতিমধ্যেই পার্টি অফিসে জড়ো হওয়া শুরু করেন।
সূত্রপাত বুধবার গভীর রাতে। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির আশঙ্কা প্রকাশ করে দিল্লির দুই মন্ত্রী আতিশি এবং সৌরভ ভরদ্বাজ সমাজ মাধ্যমে লেখেন, “আমরা খবর পেয়েছি, বৃহস্পতিবার সকালে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালাবে৷ হয়তো গ্রেপ্তারও করা হতে পারে৷” আর এরপরই সকাল হতে না হতে ভুরি ভুরি আপ কর্মী সমর্থক কেজরিওয়ালের বাড়ির কাছে জড়ো হতে থাকে।
জানিয়ে রাখি, আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে ইডি। আরেক মন্ত্রী রাজকুমার আনন্দের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতিতে কেজরিওয়াল ইডির তরফে জারি করা তৃতীয় সমন এড়িয়ে যাওয়ার পরে পার্টির নেতা অতিশি, সৌরভ ভরদ্বাজ এবং জেসমিন শাহ এই দাবি করেন। এর আগে গত ২ নভেম্বর এবং ২১ ডিসেম্বরও ইডির তলবে সাড়া দেননি কেজরি। এর পর গত ২২ ডিসেম্বর ফের তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়। সেই সমনও তিনি উপেক্ষা করেন।আপ সুপ্রিমো সেই সমনগুলিকেও “অবৈধ” এবং “রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে অভিহিত করেছিলেন।
ইতিমধ্যেই সকাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বুধবারই ইডিকে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, ২৭ জানুয়ারির আগে তিনি এই মামলায় হাজিরা দিতে পারবেন না। কারণ, তার আগে পর্যন্ত রাজ্যসভার নির্বাচন নিয়ে তিনি ব্যস্ত থাকবেন। ইডিকে লেখা চিঠি কেজরিওয়ালের বক্তব্য, ‘আমি আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক। তাই এই প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। এছাড়া আমি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাই ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান নিয়েও ব্যস্ততায় রয়েছি।’