দিল্লি, ৩ জানুয়ারি– বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের না শোনা পরই লোকসভার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা মামলা তুলে নিলেন বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷
‘ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷ ৮ ডিসেম্বর বহিষ্কারের দিন কয়েক পরেই সাংসদ বাংলো খালি করতে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয় লোকসভা সচিবালয়ের তরফে৷ এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া৷ দায়ের করেছিলেন মামলা৷ আবেদন করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত বাংলোতে থাকতে দেওয়া হোক তাঁকে৷ তাঁর সেই আবেদনের ভিত্তিতে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের বেঞ্চ জানায়, আদালতের এই ব্যাপারে কিছু করণীয় নেই৷ তবে কেন্দ্রের ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের কাছে এ বিষয়ে আবেদন জানাতে পারেন মহুয়া৷ এরপরেই কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ দিল্লি হাইকোর্টে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নেন৷
দিল্লি হাইকোর্টে মহুয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, সাংসদ বাংলো খালি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারে ডিরেক্টরেট অব এস্টেট-এ আবেদন করবেন মহুয়া৷ ডিরেক্টরেট অব এস্টেট কেন্দ্রীয় সরকারেরই একটি অফিস৷ এই অফিস সাংসদ-মন্ত্রীদের বাংলো সংক্রান্ত বিষয়টি দেখভাল করেন৷ হাইকোর্ট থেকে মামলা তুলে সেখানেই আবেদন করবেন মহুয়া৷ তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ পর্যন্ত ওই বাংলোতে যাতে মহুয়াকে থাকতে দেওয়া হয়, সে জন্য আবেদন জানাবেন তৃণমূল সাংসদ৷ দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, তথ্য এবং পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করতে হবে ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটকে৷
তৃণমূল নেত্রী এই মামলা প্রত্যাহার করে নিলেও সুপ্রিম কোর্টে তাঁর সংসদ পদ খারিজ সংক্রান্ত মামলাটি এখনও বিচারাধীন৷ সেই মামলায় বুধবার লোকসভার সচিবালয়কে নোটিস পাঠিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে শীর্ষ আদালত৷ আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যাপারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য লোকসভার সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷