দিল্লি, ৩ জানুয়ারি – ইডির দফতরে ফের হাজিরা এড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল । এই নিয়ে তৃতীয়বার ইডির পাঠানো নোটিস এড়িয়ে গেলেন তিনি। ৩ জানুয়ারি তাঁকে ইডি দফতরে এসে দেখা করার জন্য গত ২২ ডিসেম্বর অরবিন্দকে কেজরিওয়ালকে সমন পাঠানো হয়। এদিন সকালেই আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ জানিয়ে দেন, তিনি ইডি দফতরে আসছেন না। আম আদমি পার্টি সূত্রে খবর, কেজরিওয়ালের দাবি, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি যে নোটিস পাঠিয়েছে সেটি বেআইনি।
বুধবার ইডির ডাকে সাড়া দিলেন না অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় বুধবার তাঁকে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু এই সমনকে ‘বেআইনি’ দাবি করে তিনি বুধবার হাজিরা এড়িয়ে যান। আম আদমি পার্টির একটি সূত্রকে উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। কিন্তু ইডির নোটিস পাঠানোর উদ্দেশ্য আপ প্রধানকে গ্রেফতার করা। আপের দাবি, ‘এই নোটিস ঠিক মকসোভা নির্বাচনের আগেই পাঠানো হয়েছে। এর আসন উদ্দেশ্য হল, কেজরিওয়ালকে নির্বাচনী প্রচার থেকে দূরে সরানো। ‘
ইডির নোটিসকে বেআইনি ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বলে অভিযোগ তুলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর আগে দুই বার, ২ নভেম্বর এবং ২১ ডিসেম্বর ডেকে পাঠানো হয়েছিল আপ প্রধানকে। তিনি সেই তলবেও সাড়া দেননি। এর মধ্যে ২১ ডিসেম্বর অরবিন্দ তাঁর যোগাভ্যাসের অনুশীলনের কারণে এবং তার আগে নভেম্বরে মধ্যপ্রদেশে প্রচারের কাজে চলে গিয়েছিলেন কেজরীওয়াল।
একই কথা বলেছিলেন আপপ্রধানও। বুধবারও ইডিকে দেওয়া জবাবে অরবিন্দ জানিয়েছেন, তাঁকে পাঠানো ইডির সমন বেআইনি। তদন্তে যে কোনও রকমের সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত। যে কোনও আইনত বৈধ সমনেরও জবাব দিতে রাজি। কিন্তু বেআইনি সমন সরাতে হবে।
কেজরীওয়ালকে দিল্লির আবগারি দুর্নীতির সূত্রে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। কিন্তু আপ জানিয়েছে, বার বার প্রশ্ন করা সত্ত্বেও ইডি একটি প্রশ্নের জবাব দেয়নি বা দিতে পারেনি যে, কোন মর্যাদায় বা কী হিসাবে কেজরীওয়ালকে ওই মামলায় এই সমন পাঠানো হচ্ছে। তাতেই সন্দেহ বাড়ছে এবং এই বিশ্বাসও দৃঢ় হচ্ছে যে রাজনৈতিক কারণেই এই সমন।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তবে কেজরিওয়ালের হাজিরা এড়ানো নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালার তোপ, কেজরিওয়াল নিশ্চিতভাবে কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন। সেই কারণেই বারবার হাজির এড়াচ্ছেন।
২০২১-২২ সালে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার নতুন আবগারি নীতি প্রণয়ন করে। সেই নীতিতে বহু গলদ আছে বলে দাবি ওঠে. দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে. এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের সুবিধে পাইয়ে দিতে এই নীতি প্রণয়ন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে. প্রথমেই মামলায় মিবিয়াই তদন্ত শুরু হয়, পরে সামিল হয় ইডি।