টোকিও, ১ জানুয়ারী – নতুন বছরের প্রথম দিনই ভূমিকম্পের প্রাবল্যে কেঁপে উঠল উত্তর-মধ্য জাপানের বিস্তীর্ন এলাকা। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৬। ভূমিকম্পের পরই জাপান আবহাওয়া বিভাগের তরফে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জাপানের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষদের সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাপান প্রশাসন। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস জানিয়েছে, সুনামিতে জলস্তর ১৬.৫ ফুট পর্যন্ত উঁচুতে ওঠার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। কিছু কিছু অঞ্চলে সুনামির ছোট ছোট ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। শেষ পাওয়া খবরে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং কোনরকম হতাহত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।
কম্পন অনুভূত হয়েছে রাজধানী টোকিও থেকে শুরু করে একাধিক বড় শহরে। ইতিমধ্যেই সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছে গোটা দেশে। কিন্তু সোমবারের কম্পনের তীব্রতা আগের চেয়েও বেশি। ফলে সুনামির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, উঁচু বাড়িতে বা অন্য এলাকায় আশ্রয় নিতে। তবে এখনও জাপানে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। পাশাপাশি সতর্কতা জারি হয়েছে জাপানের প্রতিবেশী দেশ কোরিয়া ও রাশিয়াতেও।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে সুনামির সাক্ষী ছিল জাপান। ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হোংসু দ্বীপে জোরাল ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৯, যা জাপানের ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। এই ভূমিকম্পের পর সুনামির জেরে বিশাল ঢেউ উপকূলবর্তী বড়-বড় বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। মৃত্যু হয়ে কমপক্ষে ১৮ হাজার মানুষের।