সুন্দর, উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যসম্মত ফরসা ত্বকের অধিকারী সকলেই হতে চায়। কিন্তু বাজারজাত ক্রিমগুলোতে ব্যবহূত রাসায়নিক দিনের পর দিন ত্বকের ওপর ব্যবহার করার ফলে ত্বক ক্রমশ নষ্ট হয়ে যেতে থাকে এবং মুখের চামড়া দিন দিন পাতলা হয়ে যায়। এই কারণে নিজের ত্বককে আরো সুন্দর, উজ্জ্বল মোহময়ী করে তোলার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। অতিরিক্ত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকলে ত্বকের মেলানিন কালচে হয়ে যায়। তাই ত্বককে বাইরের দূষণ ও সূর্যের রশ্মি থেকে বাঁচাতে দৈনন্দিন যত্ন নেওয়া উচিত। পার্লারে গিয়ে ট্রিটমেন্ট করালে তা সময় ও খরচা দুটিই ব্যয় করে। তাই ঘরে থাকা কয়েকটি জিনিসের মাধ্যমেই নিজের ত্বককে সহজেই ফরসা করে তুলতে পারবেন। সুতরাং এবার আপনার হাতের মুঠোয় রয়েছে ফরসা হওয়ার সহজ উপায়।
ঘরে হোক কিংবা বাইরে দৈনন্দিন কাজের ফাঁকেই চটজলদি ঘরে থাকা উপাদান দিয়েই এবার নিজের ত্বককে আরো সুন্দর করে তুলতে পারবেন। কেননা রান্নাঘরে কাজ করতে করতে সেখানকার কোনো উপাদান দিয়েই চট করে দিনের শুরু কিংবা দিনের শেষে ত্বকের যত্ন সেরে নিতে পারবেন। এবার এক নজরে জেনে নিন ত্বকের ঘরোয়াভাবে ফরসা হওয়ার উপায়—
১. হলুদ : হলুদের মধ্যে থাকা উপাদান ত্বকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে যা ত্বককে সমস্ত রকম জীবাণু থেকে রক্ষা করে। এছাড়া হলুদের মধ্যে থাকা উপাদান ত্বককে দ্রুত প্রক্রিয়ায় ফরসা করে তোলে। এটি ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। এছাড়া ত্বক থেকে বার্ধক্যের ছাপ সরিয়ে দিয়ে ত্বককে সব সময় টান টান এবং উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। হলুদ মুখে লাগানোর পাশাপাশি দৈনন্দিন খালি পেটে এক টুকরো করে খাওয়া গেলে তা শরীরকে ভেতর থেকে শুদ্ধিকরণ ঘটায়।
প্রয়োজনীয় উপাদান
কাঁচা হলুদ বা হলুদ গুঁড়ো এক চামচ ও লেবুর রস ২ চামচ।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
কাঁচা হলুদ বেটে নিন কিংবা হলুদ গুঁড়া এক চামচ নিন। এবার তার সঙ্গে দু চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিন। লেবুর রস এবং হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার মিশ্রণটি মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। মূলত যেসব জায়গায় সূর্যের তাপে কালচে হয়ে গেছে, সেই জায়গাগুলোতে ভালো করে লাগিয়ে নিন। এরপর ১৫ মিনিট মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে মুখটা ভালো করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে এক মাসের মধ্যে পার্থক্যটা নিজের চোখেই দেখতে পারবেন।
২. দুধ : দুধের মধ্যে উপস্থিত প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ত্বকের রঙকে ভেতর থেকে হালকা করে এবং ত্বককে বাইরে থেকে সুন্দর মসৃণ এবং আর্দ্র করে তোলে। দৈনিক দুধের ব্যবহারের ফলে ত্বক আরো লাবণ্যময় হয়ে ওঠে। এছাড়া দুধ ত্বককে ফরসা করে তুলতে সাহায্য করে। এবং এটি ফরসা হওয়ার একটি সহজ উপায়।
প্রয়োজনীয় উপাদান
১ টেবিল চামচ দুধ ও ১ চা চামচ মধু।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
দুধ এবং মধুকে ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে নিন। এরপর ১৫ মিনিট মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন। মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে উষ্ণ গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বক যদি খুব শুষ্ক থাকে সে ক্ষেত্রে দুধের বদলে দুধের সর মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই এই মিশ্রণটি মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
৩. লেবু : লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন ‘সি’ ত্বকের যে কোনো দাগ ছোপকে পরিষ্কার করে ত্বককে স্বচ্ছ করে তোলে এবং ত্বকের শুষ্কতা কাটিয়ে তাকে আরো উজ্জ্বল করে তোলে। লেবুর মধ্যে থাকা ব্লিচিং উপাদান ত্বককে ভেতর থেকে দাগ-ছোপহীন করে তোলে। এছাড়া রোদে পোড়া দাগও সহজেই হালকা করে। ত্বক যখনই উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যসম্মত হয়ে উঠবে তখনই তা ফরসা হয়ে উঠবে।
প্রয়োজনীয় উপাদান
পাতিলেবু একটি ও মধু দু চামচ।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
একটি পাতিলেবু নিন। সেটিকে কেটে লেবু থেকে সমস্ত রস বের করে নিন। সেখান থেকে দু চামচ লেবুর রস এক চামচ জলে মেশান। এবার এই মিশ্রণটি ত্বকের দাগ ছোপ যুক্ত জায়গায় লাগান। লেবুর রস মধুর সঙ্গে সমপরিমাণে মিলিয়েও মুখে লাগাতে পারেন। এটি ত্বক থেকে যাবতীয় নোংরা এবং রোদের পোড়া দাগ তুলতে সাহায্য করবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন তবে এই মিশ্রণটি মুখে লাগানোর আগে অবশ্যই কানের পেছনে কিংবা গলায় লাগিয়ে দেখে নেবেন।
৪. টমেটো: টমেটোর মধ্যে থাকা উপাদানগুলো ত্বকের দাগ ছোপ কমিয়ে ত্বককে ভেতর থেকে ফরসা এবং উজ্জ্বল করে তোলে। ত্বকের মধ্যে থাকা লাইকোপিন নামক উপাদান ত্বকে আর্দ্রতা প্রদান করে এবং ত্বকের ওপরে থাকা মৃত কোষগুলোকে সরিয়ে ত্বকের ট্যান দূর করতে সহায়তা করে।
প্রয়োজনীয় উপাদান
টমেটো ২টি ও লেবুর রস ২ চা চামচ।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
২টি টমেটো মিক্সিতে বেটে নিয়ে মিশ্রণ থেকে টমেটোর রস বের করে নেবেন। তারপর পরিমাণমতো টমেটোর রস নিয়ে তার মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করবেন। টমেটো-লেবুর মিশ্রণটি সারা মুখে লাগাবেন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করবেন। তারপর সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নেবেন। প্রতিদিন স্নানের আগে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে ত্বকের দাগ ছোপ কমে যাবে।
৫. দই : ফরসা হওয়ার উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম উপাদান দই। দইয়ের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের ক্ষুদ্র লোমকূপে জমে থাকা ময়লাকে টেনে বার করে ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে। দৈনিকভাবে ত্বকে টক দই ব্যবহার করার ফলে ত্বকের রং হালকা হয় এবং তা ফরসা হয়ে ওঠে। এছাড়া খাদ্য তালিকাতেও যদি টক দই রাখা যায় তবে তা স্বাস্থ্যসম্মত হয়।
প্রয়োজনীয় উপাদান
২ টেবিল চামচ টক দই ও ১ চা চামচ মধু।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
টক দই এবং মধু ভালো করে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এবার প্যাকটি পরিষ্কার ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট প্যাকটি লাগিয়ে রাখুন। অল্প শুকিয়ে এলে সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। টানা ১০ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বককে উজ্জ্বল এবং ফরসা করে তুলতে সহায়তা করবে।
৬. গোলাপ জল : গোলাপ জল ত্বককে ভেতর থেকে তরতাজা করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। দৈনিক গোলাপ জলের ব্যবহারের ফলে ত্বক লাবণ্যময়ী হয়ে ওঠে। মূলত সংবেদনশীল ত্বকের জন্য গোলাপ জল খুব উপকারী উপাদান। এটি সহজেই বাজারে কিনতে পাওয়া যায় কিংবা বাড়িতেও বানিয়ে নেওয়া যায়। এটি সরাসরি ব্যবহার করার পাশাপাশি যে কোনো প্যাকের মাধ্যমেও ত্বকে লাগানো যায়। গোলাপ জল ত্বকে একটি ঠান্ডা অনুভূতি এনে দেয়।
প্রয়োজনীয় উপাদান
পরিমাণমতো গোলাপ জল ও তুলো।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
প্রতিদিন গোলাপ জল তুলোর মধ্যে নিয়ে মুখটা পরিষ্কার করুন। দিনে ২ বার এটি ব্যবহার করতে পারেন। স্নানের আগে কিংবা বাইরে থেকে ঘুরে আসার পর গোলাপ জল দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করে নিন। এটি ত্বকের উপরিভাগে থাকা নোংরাগুলোকে দ্রুত সরিয়ে ফেলে ত্বকে সতেজতার অনুভূতি এনে দেবে।
৭. পেঁপে : পেঁপে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় ত্বকের উপযোগী বিভিন্ন উপাদান এর মধ্যে রয়েছে। এটি খাওয়া এবং এর পাশাপাশি মুখে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করার ফলে একটি সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যেতে পারে। পেঁপেতে এক ধরনের এনজাইম থাকে যেটি ত্বককে ফরসা করে তুলতে সহায়তা করে। এছাড়াও পেঁপের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান ত্বকের ওপর থেকে মৃত কোষ সরিয়ে ত্বকের মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম ছিদ্রগুলোকে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। যারা ব্রণ কিংবা ফুসকুড়ির সমস্যায় ভুগছেন কিংবা যাদের মুখে দাগ রয়েছে তাদের জন্য পেঁপে খুব উপকারী। এছাড়াও বার্ধক্যজনিত যে ফাইন লাইনস রিংকেলস মুখে দেখা যায় সেগুলোকে পেঁপে কমাতে সহায়তা করে। পেঁপের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম ত্বককে আর্দ্র এবং লাবণ্যময় করে তোলে। যার ফলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়।
প্রয়োজনীয় উপাদান
অর্ধেক পাকা পেঁপে, ১ টেবিল চামচ মধু ও হাফ টেবিল চামচ লেবুর রস।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
অর্ধেক পাকা পেঁপে মিক্সিতে ভালো করে বেটে নিন। এরপর মিশ্রণ করা পাকা পেঁপেটির মধ্যে মধু এবং লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এবার প্যাকটি মুখে গলায় ঘাড়ে ও হাতে ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট পর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পাকা পেঁপে সরাসরিও ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। দৈনিক স্নানের আগে হাতে মুখে একবার যদি পাকা পেঁপে ব্যবহার করে নিতে পারেন তাহলে সান ট্যানের সমস্যা কমবে এবং আপনার ত্বক আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। পেঁপের এই প্যাকটি সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া শুধু পাকা পেঁপে রোজ স্নানের আগে ব্যবহার করতে পারেন।
৮. ফলের প্যাক : বিভিন্ন ফলের সংমিশ্রণে তৈরি করা প্যাক ত্বককে গভীরভাবে পুষ্টি প্রদান করে ফরসা এবং সুন্দর করে তোলে। ফলের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ত্বককে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিয়ে সুন্দর করে তোলে। মূলত পেঁপে, অ্যাভোকাডো, কিউই, কলা, আপেল, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আঙুর, আম, তরমুজ, বেদানা প্রভৃতি ফল দিয়ে প্যাক তৈরি করে আমরা মুখে ব্যবহার করতে পারি।
প্রয়োজনীয় উপাদান
একটি আপেল ও একটি কমলালেবু।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
আপেল এবং কমলালেবু মিক্সিতে দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি এবার পরিষ্কার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন করে এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বককে ভেতর থেকে মসৃণ এবং ফরসা করে তুলে।
৯. বেসন : বেসন ত্বককে পরিষ্কার করে ত্বকে অতিরিক্ত তেলের পরিমাণ কমিয়ে ফরসা করে তোলে। এছাড়াও এটি ব্রণ ও ফুসকুড়ি সারাতে অনবদ্য এক উপাদান। মুখ থেকে চুলের পরিমাণ কমাতে কিংবা শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে, ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা কমাতে, বার্ধক্যজনিত ত্বকের সমস্যা দূর করতে বেসনের ব্যবহার অনবদ্য। ফরসা হওয়ার উপায়গুলোর মধ্যে বেসন খুবই ভালো।
প্রয়োজনীয় উপাদান
১ চামচ কাঁচা দুধ, ৪ চামচ বেসন ও ১ চামচ লেবু রস।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
বেসন, দুধ এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার হাতে আস্তে আস্তে মুখের ত্বকের ওপর মেসেজ করুন। এরপর ১৫ মিনিটের জন্য এটি মুখে রেখে দিন। কিছু সময় পর মিশ্রণটি শুকিয়ে যাবে, তারপর সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ কমাতে সহায়তা করবে। সপ্তাহে একদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। কিছুদিন ব্যবহারের ফলেই ত্বকে পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
১০. অ্যালোভেরা : অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে থাকা ভিটামিন, খনিজ উপাদানগুলি ত্বককে উপযুক্ত পুষ্টি জুগিয়ে ত্বককে আরো সুন্দর করে তোলে। এছাড়া ব্রণ, পিম্পলস-এর মতো গুরুতর সমস্যাগুলোর সমাধান করে। অ্যালোভেরা দ্রুত ত্বকের রং হালকা করে আরো ফরসা করে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়া বার্ধক্যজনিত সমস্যা কিংবা পিগমেন্টেশনের মতন সমস্যা থাকলে সেই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারে অ্যালোভেরা।
প্রয়োজনীয় উপাদান
১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ও কয়েক ফোটা গোলাপ জল।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
বাজার থেকে অ্যালোভেরা গাছের অংশ কিনে নিয়ে আসতে পারেন কিংবা দোকানে প্যাকেটজাত অ্যালোভেরা জেল পাওয়া যায় সেটিও ব্যবহার করতে পারেন। তবে অ্যালোভেরার জেল যেটি গাছের থেকে পাওয়া যায় সেটি সরাসরি ত্বকে লাগালে অনেক সময় এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্যাকেটজাত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করাই ভালো। অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তার মধ্যে গোলাপ জল মিশিয়ে একটি হালকা মিশ্রণ তৈরি হবে। সেটি পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সকালে ও রাতে শুতে যাওয়ার আগে এই পদ্ধতিটি মেনে চলুন। এতে এক সপ্তাহের মধ্যেই দেখতে পারবেন ত্বকে কিরূপ পরিবর্তন এসেছে।