কলকাতা, ২৬ ডিসেম্বর– চলতি মাসের ২২ জানুয়ারী বহু চর্চিত রামমন্দিরের উদ্বোধন। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় যেমন আছেন দেশ-বিদেশের গন্যমান্য ব্যক্তিরা তেমনই রয়েছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধানরাও। কংগ্রেস থেকে সিপিএম কে নেই সেই তালিকায়। তবে এদিন উপস্থিত থাকার ব্যাপারে কংগ্রেস যেমন একটু নড়বড়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সিপিএম আবার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। অযোধ্যায় নবনির্মিত মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পুজোয় সিপিএম যে অংশ নেবে না বা কোনও প্রতিনিধি পাঠাবে না তা নিয়ে কোনও রহস্য ছিল না। যদিও তা এতদিন আনুষ্ঠানিভাবে জানানো হয়নি সিপিএম সূত্রে। কিন্তু মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নৃপেন্দ্রর চৌধুরীর আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা যখন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির কাছে যান তখন কোন রাখ-ঢাক না করে সেখানে না যাওয়ার কথা জানিয়ে দেন সীতারাম ইয়েচুরি ।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ব্যাপারে এখনও আমি কোথাও কিছু বলিনি। ওঁরা এসেছিলেন, আমি চা-কফি অফার করেছিলাম। ওঁরা খেতে চাননি। ব্যস আমন্ত্রণ জানিয়ে চলে গিয়েছেন।
সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম এদিন বলেন, “ধর্মবিশ্বাস প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিষয়। ব্যক্তিগত আস্থা ও ধর্মাচরণের এই অধিকারকে আমরা শ্রদ্ধা করি ও তা সুরক্ষিত রাখায় বিশ্বাস করি। ভারতের সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের বিবিধ নির্দেশেও বলা হয়েছে, রাষ্ট্র কোনও ধর্মের প্রচার করতে পারে না বা কোনও ধর্মের সঙ্গে জুড়ে থাকতে পারে না।”
সিপিএম সাধারণ সম্পাদকের কথায়, “অযোধ্যায় যে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হতে চলেছে তা পুরোটাই রাষ্ট্রের মদতে ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মতো সাংবিধানিক পদে বসে থাকা ব্যক্তিরা সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে পুরোদস্তুর রাজনীতি হচ্ছে। যা দেশের সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সেই কারণেই ওই অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে অপারগতার কথা জানিয়ে দিয়েছি।”