দিল্লি, ২৩ ডিসেম্বর – ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে কোমর বেঁধে নেসা পড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে তিন রাজ্যে নিরঙ্কুশ জয় হয়েছে বিজেপির। লোকসভা নির্বাচনের আগে যা বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে বিজেপির। লোকসভা নির্বাচনে কি কাজ করবে মোদি ম্যাজিক ? সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। মোদির জনপ্রিয়তার কারণই বা কী ? এই বিষয়ে কি বলছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ? প্রশান্ত কিশোরের মতে, মোদির উত্তরসূরি হবেন কড়া হিন্দুত্ববাদী।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে ইন্ডিয়া জোটের জয়ের সম্ভাবনা থেকে শুরু করে জাতীয় রাজনীতির নানা বিষয়ে কথা বলেন প্রশান্ত কিশোর। পাশাপাশি মোদি সম্পর্কেও মুখ খুললেন। তাঁর মতে, মোদির ক্যারিশমা ২০১৪ সালে যা ছিল, তা অনেকটাই ম্লান হয়েছে । কিশোরের কথায়, ”২০১৪ সালে যখন মোদিকে মানুষ ভোট দিয়েছিলেন, ভেবেছিলেন এই মানুষটা ম্যাজিক করে সব বদলে দেবেন। আবার ২০১৯ সালে তাঁরাই ভাবলেন, সেভাবে কিছুই বদলায়নি, তবে উনি চেষ্টা তো করছেন। এবার, ২০২৪ সালে ভোট দেওয়ার সময় তাঁরা হয়তো ভাববেন, এটা ঠিকই উনি সেভাবে কোনও বদল ঘটাতে পারেননি। কিন্তু মোদি ছাড়া বিকল্পই বা আর কে আছেন ?”
গোটা বিশ্বে এখনও জনপ্রিয়তাই মোদিই শীর্ষে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। তবে একে বিশেষ আমল দিতে রাজি নন প্রশান্ত কিশোর। তিনি মনে করাচ্ছে, এক সময় গর্ভাচভের জনপ্রিয়তাও বিপুল ছিল। কিন্তু তিনি যেবার নোবেল পুরস্কার পান, সেই বছরই ইউএসএসআর থেকে ছিটকে যেতে হয় তাঁকে। অর্থাৎ এত বড় গণতান্ত্রিক দেশের নেতা বলেই মোদির জনপ্রিয়তা। দেশে তাঁর জনপ্রিয়তা কমলে তা বিশ্বের দরবারেও প্রতিফলিত হবে।
কিন্তু মোদির পরে কে? কিশোরের মতে, তিনি হবেন আরও কট্টর হিন্দুত্ববাদী। জনপ্রিয় ভোট কৌশলীর মতে, ”বিজেপি ও আরএসএসের নেতৃত্বের ট্রেন্ডটা গত কুড়ি বছরে একবার দেখুন। প্রথমে ছিলেন বাজপেয়ী ও আডবাণী। বাজপেয়ী উদারচেতা। আডবাণী কট্টর। পরে এলেন আডবাণী আর মোদি। দুজনেই কট্টর। এখন চালাচ্ছেন মোদি ও শাহ। তাঁরাও কট্টর। অর্থাৎ এর পর যিনি আসবেন, তিনি হবেন আরও কট্টর হিন্দুত্ববাদী।” তবে কারও নাম নেননি তিনি। যদিও অনেকেই মনে করছেন যোগী আদিত্যনাথের মতো কারও কথাই বলতে চেয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।`
প্রশান্ত কিশোর মোদিকে খুব ভালোভাবেই চেনেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক গুণ রয়েছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য দিক হল তাঁর অভিজ্ঞতা। ৪৫ বছর ধরে তিনি যে অভিজ্ঞতা সন্চয় করেছেন তাই প্রধানমন্ত্রীর শক্তি। ১৫ বছর সংগঠক হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। এরপর তিনি দীর্ঘ সময় মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি সামলেছেন। তাই প্রশাসনকে বোঝা তাঁর নখদর্পনে।