• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ঝাড়খণ্ডে বিস্ফোরণে রেল লাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা , ব্যাহত ট্রেন চলাচল 

চাইবাসা, ২২ ডিসেম্বর – শুক্রবার ভারত বনধ-এর ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। আর সেদিনই ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সাড়ে বারোটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে চাইবাসার গোইলকেরা এবং পোসাইতা স্টেশনের মাঝে। সেখানে বিস্ফোরণে রেল লাইনের বেশ খানিকটা অংশ উড়ে যায়।  যার জেরে হাওড়া-মুম্বই শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মাওবাদীরা নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় বলে

চাইবাসা, ২২ ডিসেম্বর – শুক্রবার ভারত বনধ-এর ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। আর সেদিনই ঝাড়খণ্ডের চাইবাসায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সাড়ে বারোটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে চাইবাসার গোইলকেরা এবং পোসাইতা স্টেশনের মাঝে। সেখানে বিস্ফোরণে রেল লাইনের বেশ খানিকটা অংশ উড়ে যায়।  যার জেরে হাওড়া-মুম্বই শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মাওবাদীরা নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় বলে প্রশাসনের মত। 

১৬ ডিসেম্বর থেকে প্রতিরোধ দিবস পালন করছে মাওবাদীরা। শুক্রবার তার শেষ দিন ছিল। রেল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে  গোইলকেরা এবং পোসাইতা স্টেশনের মাঝে রেললাইনের বেশ খানিকটা অংশ বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। সেই সময় ওই পথ ধরেই ১৮০৩০ শালিমার-কুরলা আপ এক্সপ্রেস যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বিষয়টি নজরে পড়ে পাশের লাইন দিয়ে যাওয়া মালগাড়ির চালক এবং গার্ডের। সঙ্গে সঙ্গে গোইলকেরা এবং পোসাইতা স্টেশন ম্যানেজারকে সতর্ক করে দেন তাঁরা।
 

এই খবর পাওয়ার পরই গোইলকেরা স্টেশনে শালিমার-কুরলা আপ এক্সপ্রেসকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। রেলের শীর্ষ আধিকারিকদেরও খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রেলের শীর্ষকর্তারা এবং রেল সুরক্ষা বাহিনীর সদস্যেরা। রেল সূত্রে খবর, ২২ ডিসেম্বর ভারত বন্‌ধের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা। তার আগেই চক্রধরপুর রেল শাখার গোইলকেরা এবং পোসাইতা স্টেশনের মাঝে থার্ড লাইনে বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। বিস্ফোরণের পর থেকে ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর রেলওয়ে বিভাগে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।  রেল পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে মাওবাদীদের একটি ব্যানার উদ্ধার হয়েছে।

রেলের শীর্ষ এক কর্তা গজরাজ সিংহ জানিয়েছেন, খবর পাওয়া মাত্রই ওই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুক্রবার ভোর সওয়া ৪টে পর্যন্তও রেললাইন ঠিক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। এই ঘটনার জেরে যোগনগরী হৃষীকেশ পুরী উৎকল এক্সপ্রেসকে মনোহরপুরে স্টেশনে রাতেই দাঁড়িয়ে করিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও পোরবন্দর-শালিমার এক্সপ্রেস এবং জগদলপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসকে মনোহরপুরে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়াও শালিমার-এলটিটি এক্সপ্রেসকে গোইলকেরা স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। পুণে-হাওড়া এক্সপ্রেসকে রউরকেলায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুণে এক্সপ্রেসকে চক্রধরপুরে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। হাওড়া-পুণে এক্সপ্রেসকে টাটা স্টেশনে দাঁড় করানো হয়।

 শুরু হয় থার্ড লাইন মেরামতির কাজ। কিন্তু শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত লাইন সারানো যায়নি। ফলে চক্রধরপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। শালিমার-মুম্বই শাখার বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যু্দ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হেয়েছে লাইন মেরামতির কাজ।বিস্ফোরণে রেললাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।

ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী হামলা এর আগেও একাধিকবার ঘটে।  গত সেপ্টেম্বর মাসেও রাঁচি এবং লাতেহার জেলার সীমানা এলাকায় নির্মীয়মান রেললাইনের একাংশ উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। পাশাপাশি রেললাইনের যন্ত্রপাতি ও যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল মাওবাদীরা । গত মে মাসেও ধানবাদের করমাবাদ হল্ট স্টেশনের কাছে রেললাইন উড়িয়ে দিয়েছিল মাওবাদীরা। অল্পের জন্য রক্ষা পায় শিয়ালদা থেকে দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস। বিপর্যস্ত হয়েছিল ট্রেন চলাচল।

রেল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণ স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মাও পোস্টার এবং ব্যানার। এরপরেই নতুন করে অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে ঝাড়খণ্ডের মাও অধ্যুষিত এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে রাজ্যের সর্বত্র চলছে কড়া নজরদারি।