চেন্নাই, ১৮ ডিসেম্বর – প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু। দক্ষিণ তামিলনাড়ু প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন। রবিবার থেকে ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত বেশ কিছু এলাকা। বৃষ্টির জেরে কন্যাকুমারী, তিরুনেলভেলি, তেনকাসি জেলার বেশ কিছু এলাকা জলের তলায় চলে যায়। ইতিমধ্যেই একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে তামিলনাড়ু থেকে। উদ্ধারকাজ চালাতে বায়ুসেনার সাহায্য চেয়েছে সেরাজ্যের প্রশাসন। চার জেলায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেও মুষলধারে বৃষ্টি হয়ে চলে ।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল চেন্নাই-সহ তামিলনাড়ুর একাধিক এলাকা। রবিবার রাত থেকেই আবার প্রবল বর্ষণ শুরু হয় তামিলনাড়ুর চার জেলায়। তিরুনেলভেলি, তুতিকোরিন, তেনকাশী ও কন্যাকুমারীতে একেবারে বিপর্যস্ত জনজীবন। তুতিকোরিনে বৃষ্টির জেরে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। যদিও তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ চালাতে বায়ুসেনার সাহায্য চেয়েছে তামিলনাড়ু প্রশাসন। তুতিকোরিন জেলার তিরুচেন্দুরে ১৫ ঘন্টায় ৬০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তিরুনেলভেলি জেলার পালায়ামকোট্টাইয়ে ২৬০ মিলিমিটার, কন্যাকুমারীতে ১৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
অতি বৃষ্টির কারণে, পাপানাসাম, পেরুঞ্জনি এবং পেচুপারাই বাঁধ থেকে জল ছাড়তে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। অন্তত তিনটি বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ফলে জলে ডুবে গিয়েছে চার জেলা। যদিও বাঁধের জল ছাড়া নিয়ে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় নজর রাখার জন্য উচ্চপর্যায়ের আধিকারিককে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। জেলাশাসকদের সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের জন্য তিনি বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং আমলা মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসকদের মুখ্যমন্ত্রী উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ত্রাণ কেন্দ্র এবং নৌকা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিরুনেলভেলি এবং তুতিকোরিন জেলায় পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দল। রয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে ৪ হাজার পুলিশ সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের এই দুর্যোগের মধ্যে সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।