• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় বিরাট অঙ্কের দুর্নীতির অভিযোগ

দিল্লি, ৯ ডিসেম্বর – প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় বিরাট অঙ্কের দুর্নীতির অভিযোগ। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের দাবি, এই জনধন যোজনা সম্পূর্ণভাবে ভুলে ভরা। এই যোজনায় বিরাট পরিমাণে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। প্রমাণ হিসাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের দেওয়া একটি তথ্য তুলে ধরেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগবত কারাদও স্বীকার করে নিয়েছেন জনধন যোজনার আওতায় খোলা মোট অ্যাকাউন্টের ১৮-২০ শতাংশ

দিল্লি, ৯ ডিসেম্বর – প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় বিরাট অঙ্কের দুর্নীতির অভিযোগ। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের দাবি, এই জনধন যোজনা সম্পূর্ণভাবে ভুলে ভরা। এই যোজনায় বিরাট পরিমাণে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। প্রমাণ হিসাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের দেওয়া একটি তথ্য তুলে ধরেছেন তিনি।

কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগবত কারাদও স্বীকার করে নিয়েছেন জনধন যোজনার আওতায় খোলা মোট অ্যাকাউন্টের ১৮-২০ শতাংশ নিষ্ক্রিয় বা ‘নিখোঁজ’। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় যে ৫০ কোটি ৮১ লক্ষ জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, তার মধ্যে প্রায় ১০ কোটিই এখন নিস্ক্রিয়। হয় ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে দীর্ঘদিন কোনওরকম লেনদেন হয়নি। অথবা এই অ্যাকাউন্টগুলির মালিকদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের অন্যতম সফল প্রকল্প হিসাবে পরিগণিত হয় এই প্রকল্প। গরিব নাগরিকদের ব্যাঙ্কের দুয়ারে আনায় এই প্রকল্পের ব্যাপক সাফল্য দাবি করে বহুবার বুক বাজিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। অথচ, সেই জনধন যোজনাতেই এবার বিরাট গরমিলের অভিযোগ।

শুধু তাই নয়, কেন্দ্র মেনে নিয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে এখনও ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা জমা রয়েছে। সচরাচর জনধন অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা জমা পড়ে। জওহর সরকার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগবত কারাদের দেওয়া জবাব পোস্ট করে বলছেন, সরকারের মন্ত্রীরা যখন জনধন যোজনার সাফল্য নিয়ে গর্ব করছেন , তখন এই জনধন অ্যাকাউন্টগুলিতে সরকারি প্রকল্পেরই এই বিরাট অঙ্কের টাকা জমা পড়ে আছে। যার কোনও দাবিদারই নেই ! স্বাভাবিকভাবেই এ ক্ষেত্রে নানা প্রশ্ন উঠছে।