দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর– জলের অপর নাম জীবন৷ কিন্তু সেই জলই মৃতু্যর মুখে ঠেলে দিচ্ছে মানুষকে৷ দেশের ২৫টি রাজ্যের পানীয় জল সম্পর্কে এমনই তথ্য দিল কেন্দ্র৷ পানের অযোগ্য ২৫টি রাজ্যের জল৷ দেশের ২৫টি রাজ্যের ২৩০টি জেলায় ভৌমজলে মিলল আর্সেনিক৷ ২৭ রাজ্যের ৪৬৯টি জেলার ভূগর্ভস্থ জলে শুধু আর্সেনিক নয়, সঙ্গে মিলেছে ফ্লোরাইডও৷ রাজ্যসভায় এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি রাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বেশ্বর টুডু৷
মন্ত্রী জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ডের রিপোর্টে ভৌমজলে আর্সেনিক এবং ফ্লোরাইডের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছে৷ তবে বিষয়টি পুরোপুরি প্রাকৃতিক (জিওজেনিক)৷ বহু বছর ধরে একইভাবে রয়েছে৷ কোনও বিশেষ বদল দেখা যায়নি৷
সম্প্রতি জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (জিএসআই) সঙ্গে সিজিডব্লিউবি একটি মউ স্বাক্ষর করে, ভৌমজলের পর্যালোচনা সংক্রান্ত৷ অর্থাৎ জলে কতটা পরিমাণে আর্সেনিক বা ফ্লোরাইড আছে, তাদের পরিমাণ কমেছে না বেডে়ছে- তা পরিমাপ করার৷ আটটি রাজ্যের দিকে বিশেষ নজর ছিল৷ যেমন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং অসম৷
জলশক্তির আওতাধীন সিজিডব্লিউবি, ভৌমজলের গুণাগুণ পরীক্ষার বিষয়টি দেখাশোনা করে৷ তারাই মূলত পর্যালোচনা করে, জল কতটা বিষাক্ত৷ফ্লোরাইড কিংবা আর্সেনিকের মাত্রা কতটা কমল-বাড়ল প্রভৃতি৷ তবে সময়ে সময়ে বিভিন্ন সমীক্ষার জন্য অন্যান্য সংস্থা-সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবেও কাজ করে৷ মন্ত্রীর কথায়, বু্যরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস-এর অনুমোদিত মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ফ্লোরাইড, আর্সেনিকের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে দেশের অধিকাংশ রাজ্যের ভূগর্ভস্থ জলে৷ ফলে এ কথা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট যে, সেই জল কোনওভাবেই পানযোগ্য নয়৷
