• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘গোমূত্র’ মন্তব্যের জন্য মুলতুবি লোকসভা, ক্ষমা চাইলেন সেন্থিলকুমার 

দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর – ডিএমকে সাংসদ ডিএনবি সেন্থিল কুমারের ‘গোমূত্র’ মন্তব্যের জেরে, বুধবার বেশ কিছুক্ষণের জন্য মুলতুবি রাখতে হয় লোকসভা। পরে, লোকসভায় তাঁর মন্তব্যের জন্য তিনি অনুতপ্ত বলে জানান ডিএমকে সাংসদ। মঙ্গলবার, সেন্থিলকুমার গোবলয়ের রাজ্যগুলিকে ‘গোমূত্র রাজ্য’ বলে কটাক্ষ করেন, যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। বিজেপি ছাড়াও ডিএমকে-র শরিক কংগ্রেসও তাঁর এই মন্তব্যের নিন্দা করে।

দিল্লি, ৬ ডিসেম্বর – ডিএমকে সাংসদ ডিএনবি সেন্থিল কুমারের ‘গোমূত্র’ মন্তব্যের জেরে, বুধবার বেশ কিছুক্ষণের জন্য মুলতুবি রাখতে হয় লোকসভা। পরে, লোকসভায় তাঁর মন্তব্যের জন্য তিনি অনুতপ্ত বলে জানান ডিএমকে সাংসদ। মঙ্গলবার, সেন্থিলকুমার গোবলয়ের রাজ্যগুলিকে ‘গোমূত্র রাজ্য’ বলে কটাক্ষ করেন, যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। বিজেপি ছাড়াও ডিএমকে-র শরিক কংগ্রেসও তাঁর এই মন্তব্যের নিন্দা করে। ডিএমকে নেতা তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেও সেখানেই যে বিতর্ক শেষ হয়ে যাবে তেমন কোন লক্ষ্মণও চোখে পড়ছে না। বুধবারও এর রেশই জারি রইল সংসদে।

‘কেবলমাত্র গোমূত্র রাজ্যগুলিতে বিজেপি জেতে ’। মঙ্গলবার ডিএমকে সাংসদ ডিএনবি সেন্থিলকুমারের এই বেফাঁস মন্তব্য ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভা। এই মন্তব্যের জন্য ডিএমকে সাংসদকে ক্ষমা চাইতে হবে এমন দাবি তুলে সরব হয় বিজেপি। ঘটনার পর কয়েক ঘণ্টা পার হতে না হতেই, মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন ডিএমকে সাংসদ। স্পিকার ওম বিড়লার কাছে করেন দুঃখপ্রকাশ।

সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে গোবলয়ের রাজ্য মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে ভালো ফল করেছে বিজেপি। মধ্য প্রদেশের ক্ষমতা ধরে রাখার পাশাপাশি, বাকি দুই রাজ্যের মসনদে বিজেপি। লোকসভায় বক্তব্য রাখার সময় গোবলয়ের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন ডিএমকে সাংসদ ডিএনবি সেন্থিলকুমার।
যে রাজ্যগুলিকে রাজনীতির লোকেরা ‘গোমূত্র রাজ্য’ মনে করে, সেখানেই বিজেপি জেতে বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সেই সঙ্গে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বিজেপি কোনও দিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি।  ‘গোমূত্র রাজ্য’ মন্তব্য ঘিরে লোকসভায় শুরু হয়ে যায় হট্টগোল। দলীয় সাংসদের মন্তব্যের জন্য লোকসভায় ডিএমকে দলের নেতা টিআর বালুকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি ওঠে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠায় অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন স্পিকার ওম বিড়লা।
ফের এর রেশ পড়ে বুধবার অধিবেশনে শুরু হওয়ার পরই। ‘গোমূত্র রাজ্য’ মন্তব্য করার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে সরব হয় সরকার পক্ষের সাংসদরা। এরপরই বিতর্কিত মন্তব্যের ক্ষমা চেয়ে নেন ডিএমকে সাংসদ।
স্পিকার ওম বিড়লাকে উদ্দেশ্য করে সেন্থিলকুমার বলেন, অসাবধনতাবশত তিনি এই মন্তব্য করেছেন । এই মন্তব্যের জন্য সাংসদদের এবং জনগণের মনে আঘাত লাগলে, তিনি মন্তব্য প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্যটি সভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
 

সংসদের রেকর্ড থেকে সাংসদের মন্তব্য মুছে ফেলা হলেও, এই নিয়ে বিতর্কের ঝড় থামেনি।  ক্ষমা চেয়েও সেই বিতর্কে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন সেন্থিলকুমার।বিজেপির তামিলনাড়ুর সভাপতি কে আন্নামালাই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “ডিএমকে-এর অপশাসনের কারণে চেন্নাই ডুবে যাচ্ছে। আমাদের উত্তর ভারতীয় বন্ধুদের ফুচকা বিক্রেতা, শৌচাগার সাফাইকারী ইত্যাদি বলে ডাকার পর, ইন্ডিয়া জোটের ডিএমকে সাংসদ এবার গোমূত্রের উল্লেখ করল। তামিলনাড়ু বিজেপি এই  মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছে।”

 সেন্থিলের মন্তব্য সামনে আসতেই তা থেকে দূরত্ব তৈরিতে নেমে পড়েছে কংগ্রেস।কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরমও সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “খুব দুর্ভাগ্যজনক শব্দ চয়ন। অসংসদীয়। সেন্থিলকুমারের অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং এই মন্তব্য ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।” আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেছেন, “আমাদের কারও এমন মন্তব্য করা উচিত নয়, যা সভ্য সমাজের ঐতিহ্যের সঙ্গে বেমানান।” দলের নেতা রাজীব শুক্ল বলেছেন, ‘‘আমরা ওই মন্তব্যের সঙ্গে মোটেও সহমত পোষণ করি না। এটি একান্তই ওই নেতার ব্যক্তিগত মতামত।’’