• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বাবাকে না বাঁচাতে পারার আর্তিতে সারা দিয়ে ছেলের পাশে ত্রাতা সোনু

মুম্বই, ৬ ডিসেম্বর– বর্তমানে চিকিৎসার বাড়তে থাকা খরচে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত৷ অসুস্থ আপনজনকে সুস্থ করার থেকেও বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় হাসপতালের বিল মেটাব কিভাবে? যেমনটা হয়েছিল পল্লব সিংহ-এর ক্ষেত্রে৷ অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর সাধ্যের বাইরে খরচের বহর দেখে একপ্রকার মরিয়া হয়েই এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘বাবাকে বোধ হয় বাঁচাতে পারব না’৷ কী করব

মুম্বই, ৬ ডিসেম্বর– বর্তমানে চিকিৎসার বাড়তে থাকা খরচে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত৷ অসুস্থ আপনজনকে সুস্থ করার থেকেও বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় হাসপতালের বিল মেটাব কিভাবে? যেমনটা হয়েছিল পল্লব সিংহ-এর ক্ষেত্রে৷ অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর সাধ্যের বাইরে খরচের বহর দেখে একপ্রকার মরিয়া হয়েই এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘বাবাকে বোধ হয় বাঁচাতে পারব না’৷ কী করব এখন? কী করার আছে? সামর্থ নেই বলেই কি অসুস্থ বাবাকে ফিরে পাওয়ার অধিকার নেই আমার?” সঙ্গে একটু ক্ষিণ আশা যদি কেউ বাডি়য়ে দেয় সাহায্যের!
সেই লেখাই ভরসার হাত বাড়িয়ে দিল পল্লবকে৷ এগিয়ে এলেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ৷ অবশ্য মানুষকে সাহায্যের তালিকায় সোনু সুদের নাম একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছে সেই করোনা কাল থেকেই৷ এর আগেও বহু বিপদে পড়া মানুষের কাছে দেবদূত হয়ে এসেছেন সোনু৷ এক্স হ্যান্ডলেই সোনু ওই পোস্টের জবাব দিয়ে লিখলেন, ‘ভাই আমরা তোমার বাবাকে হারিয়ে যেতে দেব না৷ তোমার নম্বর আমাকে সরাসরি ইনবক্সে পাঠাও৷’ এরপরই নিজের পোস্টে নিজের পরিস্থিতির বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি৷ একের পর এক পোস্টে লিখেছেন, কী ভাবে তাঁর বাবার হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসার জন্য দিল্লি এমস-এর একটি কাউন্টার থেকে অন্য কাউন্টারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি৷ পল্লব জানিয়েছেন, তিনি উত্তর প্রদেশের দেওরিয়ার বাসিন্দা৷ তাঁর বাডি়র সবচেয়ে কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্র গোরক্ষপুরে৷ যা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর খাস তালুক৷ কিন্ত্ত সেখানে বাবার চিকিৎসা করাতে পারেননি পল্লব৷ কারণ চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবার হৃদযন্ত্রের তিনটি ধমনীতেই রক্ত চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে এসেছে৷ যার জন্য হূৎপিণ্ড ২০ শতাংশ কাজ করছে৷ কিন্ত্ত গত ১৫ সেপ্টেম্বর হার্ট অ্যাটাক হলেও এখনও পর্যন্ত অপারেশন করিয়ে উঠতে পারেননি পল্লব৷ কারণ তিনি এখন কপর্দকহীন৷ বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার টাকা নেই, দিল্লি এমসে এনেছিলেন চিকিৎসার জন্য৷ কিন্ত্ত সেখানেও চিকিৎসকদের সময় পেতে দরজায় দরজায় ঘুরতে হচ্ছে তাঁকে৷ ওষুধ দিয়ে বাবাকে ঠিক রাখতে জলের মতো খরচ হচ্ছে টাকা৷ কিন্ত্ত সুরাহা হচ্ছে না কিছুতেই৷ পল্লব জানিয়েছেন, তাঁর চার সদস্যের পরিবারে তিনি ছাড়া রয়েছেন বাবা-মা আর বোন৷ মা এমসেই স্নায়ুজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে ভর্তি৷ তাঁর চিকিৎসায় খরচ হয়েছে লাখ লাখ টাকা৷ আর এ বার বাবাও অসুস্থ৷  
পল্লবের এই পোস্ট দেখার কিছু পরেই বলিউড অভিনেতা সোনু যোগাযোগ করেন পল্লবের সঙ্গে৷ সাহায্যের কথা জানিয়ে পোস্ট করেন কয়েক জন নেটাগরিকও৷ এঁদেরই এক জন পল্লবের সঙ্গে কথা বলে জানান, দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেখা করেছেন পল্লবের সঙ্গে৷ তাঁর বাবার চিকিৎসায় সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনিও৷ তবে বলিউড অভিনেতা সোনুর দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং ভরসা জাগানো আশ্বাসের প্রশংসা করেছেন সকলেই৷