নরম মসৃণ চুল, অকালে টাক পড়ে যাওয়া প্রতিরোধ ও চুলের পাক ধরা ঠেকাতে সকলেই চান। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা। চুলের যত্নে প্রথমেই আসে তেলের কথা। কিন্তু আজকাল অনেকেই তেল লাগাতে পছন্দ করেন না। শুষ্ক চুলে, চুল পড়া রোধ, সবেতেই কার্যকরী তেল। একটা সময় চুলের যত্নে শুধুমাত্র নারকেল তেলেরই ব্যবহার হয়। কিন্তু কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এসেনশিয়াল অয়েল। এ সব প্রাকৃতিক তেলের গুণে স্ক্যাল্প ও চুলের নানা সমস্যার সমাধান হয় নিমেষেই। এই প্রাকৃতিক তেলের তালিকায় অন্যতম হল ল্যাভেন্ডার অয়েল। জানা গিয়েছে, বিশেষজ্ঞদের মতে, ল্যাভেন্ডার তেল চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে, খুশকি কমায় এবং চুলের জেল্লাও বাড়ায়।
•চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে- গবেষণায় দেখা গেছে, চার সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন একবার ল্যাভেন্ডার তেল ব্যবহার করলেই উপকার পাওয়া যায়। এবং হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পৌঁছায়। রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ফলে চুলের বৃদ্ধি হয়।
•রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়- স্ক্যাল্পে ল্যাভেন্ডার তেল ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এতে মাথার ত্বক সুস্থ থাকে এবং ফলিকলে পুষ্টি পৌঁছায়। যার ফলে চুল মজবুত হয় এবং চুল পড়াও কমে।
•উকুনের সমস্যা কমে- উকুন হওয়া খুবই বিপজ্জনক। উকুনের সমস্যা সমাধানেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ল্যাভেন্ডার অয়েল। ল্যাভেন্ডার তেলের সঙ্গে টি ট্রি অয়েলের মিশিয়ে লাগালে উকুনের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
•অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ ল্যাভেন্ডার তেলে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ। এটি ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক ইনফেকশন রোধে খুবই কার্যকর। ফলে স্ক্যাল্পে চুলকানি, খুশকি এবং অন্যান্য সংক্রমণ কমাতে এই তেল বিশেষ ভাবে কার্যকরি। স্ট্রেস দূর করে, উদ্বেগ চুল ঝরার অন্যতম কারণ।