• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

তেলেঙ্গানার মসনদে রেবন্ত রেড্ডির নামেই সিলমোহর কংগ্রেসের 

হায়দরাবাদ, ৫ ডিসেম্বর – অবশেষে তেলেঙ্গানার মসনদে রেবন্ত রেড্ডির নামেই সিলমোহর দিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রবীণ নেতাদের সব আপত্তি খারিজ করে  দিল্লি থেকে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী পদে রেবন্ত রেড্ডির নাম ঘোষণা করে দিলেন রাহুল গান্ধি। সোমবার কংগ্রেসের নব নির্বাচিত বিধায়করা হায়দরাবাদের গান্ধি ভবনে বৈঠকে বসেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রেবন্ত রেড্ডি, কর্নাটকের মন্ত্রী

হায়দরাবাদ, ৫ ডিসেম্বর – অবশেষে তেলেঙ্গানার মসনদে রেবন্ত রেড্ডির নামেই সিলমোহর দিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রবীণ নেতাদের সব আপত্তি খারিজ করে  দিল্লি থেকে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী পদে রেবন্ত রেড্ডির নাম ঘোষণা করে দিলেন রাহুল গান্ধি। সোমবার কংগ্রেসের নব নির্বাচিত বিধায়করা হায়দরাবাদের গান্ধি ভবনে বৈঠকে বসেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রেবন্ত রেড্ডি, কর্নাটকের মন্ত্রী কেজে জর্জ, কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাসমুন্সি এবং এআইসিসির পর্যবেক্ষকরা।এই বিষয়ে বেশ কিছুক্ষণ  নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন কংগ্রেস বিধায়ক ও নেতৃবৃন্দ। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, ওই বৈঠকেই সকলেই রেবন্ত  রেড্ডির নামে সম্মতি দেন। বৈঠকের রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয় হাইকম্যান্ডের কাছে।

মঙ্গলবার দিল্লিতে কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ব বৈঠকে বসে। মূল উদ্দেশ্য ছিল তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। সেই বৈঠকে রাহুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা রাহুল গান্ধির মতেই সুর মেলান।  বৈঠক শেষে রাহুল নিজেই ঘোষণা করেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে। রাহুলের স্পষ্ট ইঙ্গিত, রেবন্ত রেড্ডিই হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৭ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে শপথ নেবেন তিনি। সরকারিভাবে মঙ্গলবারই সিদ্ধান্ত ঘোষণা হবে।

রেবন্তের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া রুখতে মরিয়া হয়ে আসরে নেমেছিলেন কংগ্রেসের জনা চারেক প্রভাবশালী নেতা। উত্তম কুমার রেড্ডি, ভাট্টি বিক্রমার্ক, কোমাটিরেড্ডি ভেঙ্কট রেড্ডি, দামোদর রাজনরসিমারা দাবি করেছিলেন, রেবন্ত রেড্ডি নিজেকে তেলেঙ্গানার জনগণ এবং বিধায়কদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আসলে তিনি তা নন। তাছাড়া, রেবন্ত অনভিজ্ঞ, সারাজীবন বিরোধী রাজনীতি করে এসেছেন, একটা সময় আরএসএসেও ছিলেন। তাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা ঠিক হবে না। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব সেসব আপত্তি খারিজ করে দিল। সূত্রের খবর, রাহুলের পরামর্শে তারুণ্যে ভরসা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়।