• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

এখনও ১০ হাজার কোটি ২ হাজার টাকার নোট ফেরেনি, জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

দিল্লি, ১ ডিসেম্বর– ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হয়েছে অক্টোবর মাসেই৷ কিন্তু বাজারে এখনও পড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট৷ কেন্দ্রে ঘোষণা মতে এই টাকা জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ৭ অক্টোবর৷ কারও সংগ্রহে থাকা ২০০০ টাকার নোট এই সময়ের মধ্যে ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্ত্ত,

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

দিল্লি, ১ ডিসেম্বর– ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হয়েছে অক্টোবর মাসেই৷ কিন্তু বাজারে এখনও পড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট৷ কেন্দ্রে ঘোষণা মতে এই টাকা জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ৭ অক্টোবর৷ কারও সংগ্রহে থাকা ২০০০ টাকার নোট এই সময়ের মধ্যে ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্ত্ত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানাচ্ছে এখনও তাদের হাতে হাতে আসেনি  প্রভূত পরিমাণের ২০০০ টাকার নোট
গত মে মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়া হবে৷ যে সময়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে, তখন বাজারে ছডি়য়ে থাকা নোটের মোট অর্থমূল্য ছিল ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার কোটি টাকা৷ শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে যে নোট ফেরৎ আসেনি তার পরিমাণ ৯৭ শতাংশ৷ সঙ্গে ৯৭১০ কোটি টাকার মূল্যের নোট এখনও জনসাধারণের কাছে রয়ে গিয়েছে৷ গত ৯ অক্টোবর থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন দফতরে ২০০০ টাকার নোট জমা নেওয়া চলছিল৷ আরবিআই জানিয়েছে, সেই কাজ এখনও চলবে৷
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকার পুরনো ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নিয়েছিল৷ তার পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাজারে আনে নতুন ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট৷ কিন্ত্ত তিন বছর যেতে না যেতেই ব্যাপক হারে ২০০০ টাকার নোট জাল হওয়া শুরু হয়৷ আরবিআইকে শেষমেশ ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দিতে হয়৷ তারপরই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ‘ক্লিন নোট’ নীতি ঘোষণা করে৷ বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট পুরোপুরি তুলে নেওয়ার কথা জানায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া৷
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের মতে, এখনও যার কাছে ১০টি ২০০০ টাকার নোট রয়ে গিয়েছে তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অফিসে গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম ফিল আপ করে নোটগুলির নম্বর দিয়ে তা জমা দিতে পারবেন৷ সেই পরিমাণ টাকা সেই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ তবে ওই ব্যক্তি অন্য কোনও অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন না৷ শুধু ব্যক্তি বিশেষ নয়,  একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে যে কোনও, সংস্থার ক্ষেত্রেও৷
গ্রাহকদের সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দফতরে টাকা জমা দিতে বলা হয়েছিল৷ এরকম ১৯টি দফতর রয়েছে৷ এই আরবিআই অফিসগুলি হল আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, বেলাপুর, ভোপাল, ভুবনেশ্বর, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, জয়পুর, জম্মু, কানপুর, কলকাতা, লখনউ, মুম্বই, নাগপুর, নয়াদিল্লি, পাটনা এবং তিরুবনন্তপুরমে৷